এই ঘটনার পিছনেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্বই (TMC Group Clash) উঠে আসছে। গুলি চালনার অভিযোগ উঠেছে অন্য এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধেই। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সমর্থক মনোরঞ্জন মণ্ডল এদিন সাইকেল চালিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল নেতা চিত্ত ওরফে বরুণ প্রামাণিকের নেতৃত্বে অসিত মণ্ডল ও দেবু হালদার আচমকা গুলি চালায়। গুলি লাগে ওই তৃণমূল কর্মীর পিঠে এবং তিনি সাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন।
গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত মনোরঞ্জন মণ্ডলকে ওই অবস্থায় ফেরে রেখে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এই অভিযোগ সম্পর্কে তৃণমূল নেতা চিত্ত ওরফে বরুণ প্রামাণিকের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনা প্রসঙ্গে জানান, ”ঘটনায় আমাকে জোর করে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে। পুলিশকে বলেছি যারা এই কাজে যুক্ত তাদেরকে গ্রেফতার করে শাস্তি দিক। এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।” অন্যদিকে ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় এলাকায় তৈরি হয়েছে চাপা উত্তেজনা। মোতায়েন পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা নওদা-করিমপুর সীমান্তে (Nawada Karimpur Border) দুষ্কৃতী আক্রমণে খুন হন করিমপুর দুই নং ব্লকের সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি তথা নারায়ণপুল দুই নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রীনা খাতুনের স্বামী মতিরুল ইসলাম (Matirul Islam)। বৃহস্পতিবার নওদা থানার অন্তর্গত শিবনগর টিয়াকাটা এলাকায় ওই তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি ছোড়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই তৃণমূল নেতাকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। শুক্রবার এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১০ জনের বিরুদ্ধে নওদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মৃতের স্ত্রী। মৃত তৃণমূল নেতার পরিবারের তরফে নওদা ব্লক তৃণমূল সভাপতি হাবিব শেখ ওরফে সফিউর শেখের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।