মঙ্গলবার সকালে তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের নাককাটি গাছ গ্রাম পঞ্চায়েতের মুচিপাড়া কদমতলা বাজারে দলীয় কর্মী সমর্থকদের সাথে নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘোরেন তৃণমূলের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক (Abhijit Dey Bhoumik)। এদিন তিনি গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। মূলত, ২০০৯ সালে আলিপুরে দুটি সোনার দোকানের চুরির মামলায় হাজিরা এড়ানোর দায়ে আলিপুরদুয়ার আদালত গ্রেফতারি পরোয়না জারি করেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশিথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে। নিশীথ সাংসদ হওয়ার পরে, ওই মামলা দু’টি উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে সাংসদ-বিধায়কদের আদালতে চলে যায়। কিন্তু আবার সেই মামলা দু’টি ফেরত আসে আলিপুরদুয়ার আদালতে।
নিশীথের এই গ্রেফতারি পরোয়ানারকে হাতিয়ার করে কোচবিহারে BJP-র বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে তৃণমূল। এনিয়ে গ্রামে গ্রামে চলছে তাঁদের পদযাত্রা। কাক ভোরে গ্রামে গ্রামে ঢোল পিটিয়ে এদিন মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও তৃণমূলের এই কর্মসূচি নিয়ে ইতি মধ্যে মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন রাজনীতি করতে গেলে এই ধরনের মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা রয়েছে। তিনি বলেন, “এটা রাজনীতির একটা খারাপ দিক।” নিশীথ আরও বলেন, “আমি বলব, আইন যা বলবে তা মেনে চলতেই হবে। আইনকে প্রত্যেকের সম্মান করা উচিত। আমি নিজেও করি।”
নিশীথকে গ্রেফতার এবং তাঁর পদত্যাগের দাবি তুলে গত কয়েক দিন ধরেই মিছিল, পথসভা-সহ নানা কর্মসূচি চালাচ্ছে তৃণমূল। জেলা জুড়ে চলছে পোস্টার দেওয়াও। গত সপ্তাহে মঙ্গলবার সেই ছবি দেখা যায় কোচবিহারের তুফানগঞ্জেও। সেখানে নিশীথের গ্রেফতারের দাবিতে মিছিল করা হয়। পাশাপাশি, তোলা হয় পদত্যাগেরও দাবিও। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। বিরোধীরা এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লাগাতার প্রচার চালাচ্ছে। এই অবস্থায় এবার রাজ্য বিজেপির নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা, থানায় অভিযোগ, গ্রেফতারির দাবি জানিয়ে তাঁদের পাল্টা চাপে ফেলার কৌশল নিয়েছে তৃণমূল। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা তো হয়েই রয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার উদ্দেশে কুকথা বলার অভিযোগে একাধিক থানায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে তৃণমূল।