পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections) আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে (Nisith Pramanik) নিশানা করে মাঠে নেমেছে রাজ্যের শাসক দল। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর থেকেই “নিশীথ প্রামাণিক কোচবিহারের লজ্জা” নামক ব্যানারের তলায় প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের এক প্রচার সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “ক্রিমিনাল কেসে অভিযুক্ত, সোনার দোকানে ডাকাতিতে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে অর্থাৎ দেশকে রক্ষা করার দায়িত্ব এক অপরাধীকে দেওয়া হয়েছে। এ যেন শেয়ালের কাছে মুরগি কিংবা ছাগল আদিয়া দেওয়া।”
তাঁর কথায়, অসামাজিক, সমাজবিরোধী BJP-CPIM-দের সামাজিকভাবে বয়কট করা উচিত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোচবিহারের তুফানগঞ্জে এক সভা শেষে এমনটাই জানান প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কোচবিহার পুরসভার (Cooch Behar Municipality) চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, যাঁরা অসামাজিক, সমাজ বিরোধী, তাঁদের সমাজ থেকে দূর করে দেওয়া উচিত। পাশাপাশি নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে BJP বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে নিয়েও কটাক্ষ করতে শোনা যায় তাঁকে। তাঁর অভিযোগ, “শুধু নাটাবাড়ি কেন গোটা রাজ্যের কোথাও BJP বিধায়কদের দেখা পাওয়া যায় না। কোভিডের সময় তাঁদের দেখা পাওয়া যায়নি। সাধারণ মানুষরা বিভিন্ন সার্টিফিকেট নিতে BJP বিধায়কদের দেখা পায় না।”
উল্লেখ্য, আলিপুরদুয়ারের বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ২০০৯ সালে দুটি সোনার দোকানে চুরির মামলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। ওই আদেশের পরই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল শুরু হয়ে যায়। BJP-র “চোর ধরো জেল ভরো” অভিযানের পালটা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রপতি দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রমাণিক কোচবিহারের লজ্জা এই ইস্যুকে সামনে রেখে জেলা জুড়ে ধিক্কার কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। এদিন সন্ধ্যায় তুফানগঞ্জে সভা ছিল। এর আগে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিককে ঢাক, ঢোল পিটিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে একই ইস্যুতে প্রতিবাদ করতেও দেখা যায়। এদিনের সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন প্রমুখ।