Kanchenjunga : শীতের শুরুতেই খিলখিলিয়ে হাসছে পাহাড়, দার্জিলিঙে পর্যটকদের বাড়তি পাওনা ঝকঝকে কাঞ্চনজঙ্ঘা – darjeeling tourists are witnessing kanchenjunga this days


শীত যেন এসেও এল না। দার্জিলিঙে (Darjeeling) এই সময় পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। শীতের আমেজ চেটেপুটে উপভোগ করতে চান পর্যটকরা। কিন্তু, জাঁকিয়ে ঠান্ডা নেই দার্জিলিঙে? তবে পর্যটকদের বাড়তি পাওনা কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য। তাঁরা তুষার শোভিত পর্বত রানিকে কাছাকাছি দেখে আনন্দে উৎফুল্ল। ডুয়ার্সের অধিকাংশ এলাকা, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি থেকে দেখা যায় বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ। বাঙালির চিরকালীন নস্টালজিক কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ নিয়ে। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই পাহাড়ে রীতিমতো শীতের আমেজ থাকে। সোয়েটার মুড়ি দিয়েও বাঙালি তা উপভোগ করতে চায়। এই মুহূর্তে দার্জিলিঙে পর্যটকদের ভিড় রয়েছে। দিল্লি , মুম্বই, বিহার এবং কলকাতা থেকে শৈল শহরে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা। তাঁরা কাঞ্জনজঙ্ঘার রূপে কার্যত মুগ্ধ।

Kanchenjunga Stadium : নতুন রূপে সেজে উঠবে শিলিগুড়ি কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম, শুরু সংস্কারের কাজ
মুম্বই থেকে দার্জিলিঙে আসা এক পর্যটক হরিশ কৌর বলেন, “আমরা মুম্বই থেকে এসেছি এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখে আমরা অত্যন্ত খুশি।” দিল্লি থেকে বেড়াতে এসেছেন পুজা। তিনি বলেন, “দার্জিলিং আমাকে টান। এখানের চা বাগানগুলি অন্যতম আকর্ষণ। অত্যন্ত মজা করছি আমরা।” শীতের আমেজ নিতে ‘ঝোলা তুলে’ পাহাড়ে পাড়ি দিয়েছিলেন অঞ্জন দত্তও। তিনি বলেন, “আমি সান্দাকফুতে রয়েছি। আমি সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত্র দেখে মুগ্ধ। আমি আশা করিনি পাহাড়ের এই অপূর্ব রূপ দেখব। আমি খুব খুশি।” যদিও পর্যটকদের আনাগোনা থাকলেও লাভ হচ্ছে না ব্যবসায়ীদের। দার্জিলিঙের ব্যবসায়ী সৌরভ প্রসাদ বলেন, “নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ে যায়। কিন্তু, এই বছর সেভাবে দোকানগুলিতে ভিড় হচ্ছে না।” অপর এক ব্যবসায়ী বলেন, “করোনার আগে ব্যবসার চিত্র ছিল একেবারে আলাদা। সেই সময় নভেম্বর মাসেই জমাটি ব্যবসা হত। কিন্তু, কোভিড পর ব্যবসার উপর ব্যপক প্রভাব পড়েছে। অনেকটাই কমেছে বিক্রিবাটা।”

Kanchenjunga Stadium : কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ শিলিগুড়ি পুরসভার, পরিদর্শন মেয়রের
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “সাধারণত নভেম্বর মাস থেকেই জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ে যায়। কিন্তু, এই বছর সেভাবে এখনও জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েনি।” যদিও আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী তিন থেকে চার দিনে পাহাড়ের তাপমাত্রা কমতে চলেছে। জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে উত্তর এবং দক্ষিণ দুই বঙ্গেই। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও একধাক্কায় অনেকটাই কমতে চলেছে তাপমাত্রার পারদ।

পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *