এসএসসি-এর প্রকাশিত তালিকার প্রেক্ষিতে শিক্ষকদের একটি নামের তালিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছে। সেই তালিকায় নাম থাকা এক শিক্ষিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল রবিবার। যাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতের নাম টুম্পারানি মণ্ডল পড়ুয়া (৩০) নন্দীগ্রামের (Nandigram) দেবীপুর মিলন বিদ্যাপীঠের বাংলার শিক্ষিকা ছিলেন। রবিবার সন্ধ্যায় চণ্ডীপুর থানার (Chandipur Police Station) সরিপুর গ্রামের বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে নবম-দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগে টুম্পারানি চাকরি পেয়েছিলেন। ২০১৯ সালে নন্দীগ্রামের ওই হাইস্কুলে তিনি শিক্ষিকা পদে যোগ দেন।
মৃতার এক আত্মীয়ের দাবি, নবম দশমের স্কুল শিক্ষকদের তথ্য যাচাই সংক্রান্ত একটি তালিকা কয়েক দিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই তালিকায় টুম্পারানির নাম ছিল। তার জেরে তিনি মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। শনিবার স্কুলেও যাননি বলে জানা যায়। তারপর রবিবার সন্ধ্যায় ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ পাওয়া যায়।
ওই শিক্ষিকার বাপের বাড়ি চণ্ডীপুর থানার বুরুন্দা গ্রামে। ২০১৪ সালে ডিহি কাশিমপুর গ্রামের সুবীর পড়ুয়ার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। ওই দম্পতি চণ্ডীপুর বাজার সংলগ্ন সরিপুর গ্রামের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন । বিকেলে সুবীর চণ্ডীপুর বাজারে চা খেতে গিয়েছিলেন। সে সময় তাঁর স্ত্রী টুম্পারানি বাড়িতে একাই ছিলেন। বেশ কিছু পরে সুবীর বাড়ি ফিরে ডাকাডাকি করেও স্ত্রীর সাড়া পাননি। পরে জানলা দিয়ে উঁকি মেরে ঘরের মধ্যে তাঁর স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। খবর যায় থানায়। পরে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। চণ্ডীপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।