স্থানীয় সূত্রে খবর, হাওড়া (Howrah) জেলার আমতার পেনরো এলাকায় এক গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানায়, ওই বধূ নিজে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মৃতের পরিবারের কাছে খবর পাঠানো হয় তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে। খবর পেয়ে সেলিমার শ্বশুরবাড়িতে হাজির হয় তাঁর বাপের বাড়ির সদস্যরা। সালেমার বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ তাঁদের মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। সালেমার স্বামী হারুন শেখ সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তাঁরা। মৃতের পরিবারের সদস্য আমিনা বলেন, “ওঁর শ্বাশুড়ি, স্বামী, ননদ সকলে মিলে ওঁকে মেরে দিয়েছে। মেরে দিয়ে দেহ খাটের উপর শুইয়ে দিয়েছিল। আমার বিশ্বাস ওঁকে মেরে দেওয়া হয়েছে। রোজ দুপুরে এবং রাতে ও বাড়িতে একবার করে ফোন করে। কিন্তু এদিন দুপুর থেকে ও কোনও ফোন করেনি। কখন মেরে দিয়েছে আমরা কেউ জানি না।”
মৃতার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, গৃহবধূর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির লোকজনে নিত্যদিন পারিবারিক ঝামেলা চলত। ওঁর উপর অত্যাচার করা হতো বলেও অভিযোগ। তাঁরা আরও জানান, সালিমা নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝোলেনি। সালিমার পা মাটির সঙ্গে লেগে থাকায় তাকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। মৃতার পরিবারের লোকজন পরে থানায় খবর দেয়। পুলিশ এসে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। পুলিশ একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই বলা যাবে বিবাহিত মহিলাকে খুন করা হয়েছে নাকি আত্মহত্যা করেছেন। তবে মৃতার পরিবার এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসেও গৃহবধূর গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় হাওড়ার আমতা থেকে। পণের দাবিতে গৃহবধূকে খুন করে টাঙিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে সোমবার রাতে আমতা থানার (Amta Police Station) গাজীপুরে। মৃত গৃহবধূর নাম সাফিয়া খাতুন (২৭)। ঘটনায় গৃহবধুর পরিবার, মৃত গৃহবধূর স্বামী শেখ সানোয়ার আলী সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে আমতা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। গৃহবধূর স্বামী শেখ সানোয়ার আলিকে গ্রেফতার করে আমতা থানার পুলিশ।