হাওড়া জেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র গাদিয়াড়ায় আরও একটি নতুন জেটি তৈরি হয়েছিল। নিত্যযাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্যই এই জেটি তৈরি করা হয়েছিল। এদিকে জেটি উদ্বোধনের পর ১০ দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত তা চালু হয়নি।

হাইলাইটস
- গাদিয়াড়ায় আরও একটি নতুন জেটি তৈরি হয়েছে যাত্রী
- নতুন জেটি উদ্বোধনের পর ১০ দিন কেটে গেলেও এখনও তা চালু হয়নি
- জেটি চালু না হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ
হুগলি, রূপনারায়ণ ও হলদি নদীর সংযোগ স্থলে গড়ে উঠেছে রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র গাদিয়াড়া। হাওড়া জেলা ছাড়াও নদীপথে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নূরপুর ও পূর্ব মেদিনীপুরের গেওখালি যাওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম পথ এই পর্যটন কেন্দ্র। শীতের সময় এই পর্যটন কেন্দ্রে ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায়। পিকনিক অথবা দুদিনের ছোট্ট ছুটি এই জায়গার জুরি মেলা ভার। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে গাদিয়াড়াকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে নতুন করে সাজনো হয়েছে এই পর্যটন কেন্দ্রকে। আমফান অথবা ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কা সামলে ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছে গাদিয়াড়া (Gadiara)। হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে উলুবেড়িয়া বা বাগনান স্টেশনে নেমে, সেখান থেকে শ্যামপুর হয়ে বাসে করে ৮ কিলোমিটার গেলেই গাদিয়াড়া। রূপনারায়ণ, ভাগীরথী এবং হলদি নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত গাদিয়াড়ার সৌন্দর্য বরাবর আকৃষ্ট করে পর্যটকদের।
সূত্রের খবর, এই নদী পথে প্রতিদিন গড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার লোক যাতায়াত করেন। ক্রমাগত যাত্রীর চাপ বাড়তে থাকায় গাদিয়াড়া ফেরি সার্ভিস এবং হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে পরিবহণ দফতরকে একটি নতুন জেটি নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী নতুন জেটিটি নির্মাণ করা হয়। এদিকে নতুন জেটি তৈরি হলেও এখনও সেটি চালু না হওয়ায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ পাচ্ছেন না যাত্রীরা। এই ব্যাপারে গাদিয়াড়া ফেরি ঘাটের আধিকারিক উত্তম রায়চৌধুরী বলেন, “নতুন জেটি চালানোর জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। এমনকী, গেটের চাবিও দেওয়া হয়নি। সেই কারণে আমরা এখনও বুঝে উঠতে পারছি না কবে থেকে নতুন জেটি চালু হবে।”
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ