
জেল হেফাজতের সময়সীমা পার হওয়ার কারণে শুক্রবার ফের অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) আসানসোল সংশোধনাগার থেকে নিয়ে এসে CBI আদালতে তোলা হয়। শুনানি শেষে এদিন বিচারক ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে আদালত সূত্রে খবর। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) আইনজীবী এদিন জামিনের আবেদন না করলেও ভোলে বোম রাইস মিলের নামে অ্যাকাউন্টটি খুলে দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়। এমনকি অনুব্রত মণ্ডলের দুটি মোবাইল ফোন ফরেনসিকে আছে। ওই দুটি ফেরত পাওয়ার জন্যেও আবেদন করেন আইনজীবী। অন্যদিকে, আদালতে ১৪ দিনের তদন্তের আপডেট রিপোর্ট বিচারকের কাছে জমা করেন CBI-এর তদন্তকারী আধিকারিকরা। আপডেট ফাইল ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখার সময় চোখ আটকে যায় বিচারকের। আইওকে ডেকে ফিস ফিস করে বেশ কিছু কথা বলেন বিচারক।
তার মধ্যে বিচারক আইওকে বলেন “আমার ২০ বছরের সার্ভিস লাইফে এ জিনিস শুনিনি। দেখা তো দূরের কথা।” সিডি এখন বিচারকের কাছে। কী এমন তথ্য দিল CBI? সে নিয়ে রয়ে যায় রহস্য।
গোরু পাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) নেমে ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) হিসাব বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan) বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে অনুব্রতর নামে। খুবই কম দামে এই সব জমি নিজের নামে করেছিলেন কেষ্ট বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, গত ১১ অগস্ট তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতকে গ্রেফতার করেছিল CBI তদন্তকারী আধিকারিকরা। তার পর ৫ দিন CBI-র হেফাজতে ছিলেন তিনি। এর পর থেকে আসানসোল সংশোধনাগারে রয়েছেন অনুব্রত। প্রায় একশো দিন পেরিয়ে গেলেও শ্রীঘর থেকে মুক্তি মেলেনি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির।
সম্প্রতি এই মামলায় আসানসোল সংশোধনাগারে তাঁকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। যদিও অ্যারেস্ট মেমোতে সই করেননি তিনি। এরপর বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসানসোল জেল থেকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে হাজির করার আর্জি জানিয়েছিল ED। সে ব্যাপারে দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) আবেদন করা হয়। আগামী সোমবার সেই মামলার শুনানি রয়েছে।