বিশ্বজিত্ সিংহ রায় ও বিধান সরকার: আলমারির ভেতর থেকে বেরিয়ে এল বৃদ্ধার মৃতদেহ। মাত্র দুজনের সংসারে কী এমন হল যা পরিণতিতে এমন ঘটনা তা পাড়ার লোকজন বুঝে উঠতে পারছেন না। কেউ কেউ এমনটাও বলছেন, পেছনে কোনও রহস্য থাকতে পারে। শনিবার ওই মৃতদেহ উদ্ধারকে নিয়ে প্রবল হইচই শুরু হয়ে যায় চুঁচুড়ার শ্যামবাবুর ঘাটে।
আরও পড়ুন-মাঠের পর সাংবাদিক বৈঠকেও ভ্যান গাল-কে বুঝে নিলেন মেসি
স্থানীয় সূত্রে খবর, শ্যামবাবুর ঘাটের কাছে থাকতেন কাশীনাথ ধারা ও ভারতী ধারা(৬২)। ছোট্ট একটি টিনের ঘরে থাকতেন এই দম্পতি। কাশীনাথ সেই অর্থে কিছুই করতেন না। প্রচুর মদ খেতেন। ভারতী ধারা পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালাতেন। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, ভারতীর কাছ থেকে প্রায়ই মদের টাকা চাইতেন। এনিয়ে প্রচুর ঝগড়াঝাঁটি হত স্ত্রীর সঙ্গে। অশান্তি লেগেই থাকতো এনিয়ে।
শুক্রবার শেষবার ভারতী দেবীকে দেখা দিয়েছিল বলে দাবি করছেন পাড়ার লোকজন। ভারতী ও কাশীনাথের একটি ছেলে রয়েছে। সেই বিশ্বনাথ ধারা থাকে পাশেই। তার কেটারিংয়ের ব্যবসা। আজ সকালে বাবা-মার ঘরে ঢোকে বিশ্বনাথ। মায়ের ঘরের আলমারিতে ছিল তার জিনিসপত্র। বিশ্বনাথের দাবি, সেই আলমারি খুলেতেই মেঝেতে পড়ে যায় ভারতীদেবীর মৃতদেহ।
এদিকে, কীভাবে এই মৃত্যু তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। পুলিসকে ছেলে বলছে বাবা খুন করেছে। অন্যদিকে, বাবার দাবি, ছেলে মেরে ফেলেছে মাকে। পুলিস দুজনকেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।