মেমারির এই তরুণ বলেন, “ আমার সিট পড়েছিল এম ইউ সি ওম্যান্স কলেজে। সেখানেই আমি পরীক্ষা দিয়েছি। নির্বিঘ্নেই পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কোনও সমস্যায় পড়তে হয়নি।” প্রশ্নপত্র নিয়েও খুশি এই পরীক্ষার্থী। তিনি বলেন, “প্রশ্ন ভালোই হয়েছে। আমি খুশি।” ভাইরাল অ্যাটমিট কার্ড বিতর্কে তিনি আর নতুন করে কোনও মন্তব্য করতে চান না। মিমোর কথায়, “নির্বিঘ্নেই পরীক্ষা হয়েছে। আর আমি এতেই খুশি।”
উল্লেখ্য, TET পরীক্ষার কয়েকদিন আগেই সোশাল মিডিয়ায় কিছু ছবি ভাইরাল হয়, যা অনুযায়ী কিছু পরীক্ষার্থীর নাকি আসন পড়েছে বাংলাদেশ, লাহোর, দুবাইতে। এই নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। বিরোধীরাও বিষয়টি নিয়ে সরব হন। সেই সময় অবশ্য ভাইরাল তালিকায় নাম থাকা পরীক্ষার্থীরাই জানান, ভাইরাল অ্যাডমিট কার্ডে যে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলি বলা হচ্ছে তা আদতে ভুয়ো। কেউ ফটোশপের কারসাজি করেছে।
এই বিষয়ে মিমো জানিয়েছিলেন, তাঁকে কেন টার্গেট করা হল তিনি বুঝতে পারছেন না। তবে সোশাল মিডিয়ায় ভুয়ো প্রচার বন্ধ করার কথা বলেছিলেন তিনি। পড়াশোনা করে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোই তাঁর লক্ষ্য, স্পষ্ট দাবি করেন এই তরুণ। তাঁর স্পষ্ট মন্তব্য ছিল, এই ধরনের প্রচার বন্ধ করা উচিত। সোশাল মিডিয়াতেই তিনি স্পষ্ট বলেন, “এই অ্যাডমিট কার্ডের ছবি সম্পূর্ণ ভুয়ো। অপপ্রচার অবিলম্বে বন্ধ করা হোক।”
অন্যদিকে, হুগলির মগরার পরীক্ষার্থী অয়ন কোলের সিট পড়েছিল রাজ্যেরই এক পরীক্ষাকেন্দ্রে। কিন্তু, ভাইরাল অ্যাডমিট অনুযায়ী, তাঁর নাকি সিট পড়েছিল দুবাইতে। তিনিও স্পষ্ট জানান, এই ভাইরাল অ্যাডমিট কার্ড সম্পূর্ণ ভুয়ো। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিল তৃণমূল। মগড়া থানায় এই প্রসঙ্গে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন হুগলি জেলা মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী শিল্পী চট্টোপাধ্যায়।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।