প্রশাসনিক সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, রসপুঞ্জা গ্রামের বাসিন্দা গায়ত্রী রানি মণ্ডল নামে একজন নিঃস্ব বিধবা মহিলা, যাঁর একমাত্র ছেলে গত বছর মারা গিয়েছে। এখন তাঁর আয়ের একমাত্র উৎস হল সমাজকল্যাণ প্রকল্পের অধীনে প্রতি মাসে একহাজার টাকা বিধবা ভাতা। তিনি দরিদ্র সীমার আওতায় পড়েন৷ এমনকি যোজনার সুবিধাগুলির জন্য সঠিক এবং যোগ্য৷ অন্যদিকে, রসপুঞ্জা গ্রামের আর এক বাসিন্দা মলয় নস্কর নামে একজন ব্যক্তি সম্পূর্ণভাবে এই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি পাওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য৷ কারণ তিনি একটি ভালো দোতলা বাড়িতে থাকেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠছে৷ সেই অভিযোগে বারবার সরব হয়েছে বিরোধী শিবির৷ এমনকি দরিদ্র সীমার আওতায় থেকেও অনেকের নামই তালিকায় নেই বলে অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের একাধিক জেলার বাসিন্দারা৷ তার প্রতিবাদে অনেকে সরবও হয়েছেন৷ এমনকি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অভিযোগ উঠেছে, আবাস প্লাসের অধীনে সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বেশিরভাগই অযোগ্য৷ তাঁদের নিজেদের বাড়ি থাকা সত্ত্বেও, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধা নিয়েছেন তাঁরা৷
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে একাধিক অভিযোগে যখন বারবার সরব হচ্ছে বিরোধীরা, তখন আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে শাসকদলের তরফে উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে মত রাজনৈতিক কারবারিদের৷ এছাড়াও শুধু বিরোধীদের অভিযোগই নয়, একাধিক মানুষও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে সরব হওয়ায় কিছুটা চাপের মুখে নতি স্বীকার করেই রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে স্বচ্ছতা আনতে উদ্যোগী হয়েছে বলেই মত রাজনীতির কারবারিদের৷