সল্টলেকের রাস্তা সারানোর জন্যে ১২৫ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা অবশ্য করেছে রাজ্য সরকার। এই টাকা কয়েক দফায় পুরনিগমে আসবে বলে জানা গিয়েছে। আগের বোর্ড থাকাকালীনই রাস্তার জন্যে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরে ডিপিআর জমা দিয়েছিল পুরনিগম। মাস চারেক আগে সেই প্রকল্পের অনুমোদন মিললেও একটি টাকাও এখনও পুরনিগমের অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি। ডেপুটি মেয়র অনিতা মণ্ডল বলেন, ‘যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে, তা ভাগে ভাগে আমাদের কাছে আসবে। প্রথম দফায় ৩২ কোটি টাকার কাজের জন্যে প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে। সেই টাকা এলেই রাস্তার কাজ শুরু হবে।’ পুরনিগমের এক আধিকারিক জানান, ডিপিআর অনুযায়ী ওই টাকায় গোটা পুরনিগম এলাকায় রাস্তা মেরামতের পাশাপাশি বেশ কিছু নতুন রাস্তাও তৈরি হবে।
বিধাননগরের বিভিন্ন রাস্তা দীর্ঘ দিন ধরেই বেহাল। গত বর্ষার পর দুর্দশা বেড়েছে। বহু রাস্তাই খানা-খন্দে ভরা। গাড়ি এবং বাইক-চালকদের নিত্যই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। দুর্ঘটনাও ঘটছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সল্টলেক স্টেডিয়াম সংলগ্ন আমূল আইল্যান্ড, জিডি আইল্যান্ড, বিজন ভবন সংলগ্ন রাস্তা, মিউনিসিপ্যাল স্কুলের সামনের রাস্তা, ৫ নম্বর ট্যাঙ্ক লাগোয়া রাস্তা, বৈশাখী আইল্যান্ড লাগোয়া রাস্তার। ওই রাস্তাগুলিতে পুজোর আগে প্যাচ ওয়ার্ক হলেও ফের খানা-খন্দ তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে ৫ নম্বর ট্যাঙ্ক এবং বৈশাখী আইল্যান্ড লাগোয়া রাস্তা দু’টি কয়েক দিন আগে ফের সারানো হয়েছে।
সল্টলেক এসি ব্লকের বাসিন্দা শ্যামল রায় বলেন, ‘সল্টলেকের অনেক রাস্তাই খারাপ হয়ে রয়েছে দীর্ঘ দিন। ব্লকের ভিতরের রাস্তাগুলির পরিস্থিতি ভয়াবহ।’ বৈশাখী আবাসনের বাসিন্দা দীপঙ্কর সরকার বলেন, ‘বিশেষ করে খালপাড় লাগোয়া রাস্তার অবস্থা বেশ খারাপ। রাস্তা সারানো হলেও খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ফের খারাপ হয়ে যাচ্ছে। স্থায়ী সমাধান দরকার।’