পিজি তথা রোটো-র অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, হাত প্রতিস্থাপনে প্রশিক্ষিত পিজির দল একেবারে প্রস্তুত। ব্রেন ডেথ হওয়া কোনও ব্যক্তির পরিবার হাতের মতো অঙ্গ দানে সম্মতি দিলে এবং প্রস্তাবিত গ্রহীতার সঙ্গে মৃতের রক্তের গ্রুপ ও লিম্ফোসাইট মিললে সম্ভব হবে রাজ্য তথা পূর্বাঞ্চলের প্রথম হাত প্রতিস্থাপন। যাঁদের হাত মসৃণ ভাবে কেটে যায় বা পুড়ে যায়, তাঁদেরই প্রতিস্থাপিত হাতের প্রয়োজন পড়ে। এসএসকেএমের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে এমনই চার রোগী এখন চিকিৎসাধীন।
চিকিৎসক মহলের একাংশের ধারণা, বিষয়টি অন্যান্য মরণোত্তর অঙ্গ প্রতিস্থাপনের মতো হলেও হাত অভ্যন্তরীণ অঙ্গ নয়। প্রতিস্থাপনের জন্য তুলে নেওয়ার পর শবের কাটা হাত চোখে পড়ে সহজে। তাই পরিবারের থেকে সম্মতি আদায় তুলনায় কঠিন হতে পারে। তাই সচেতনতা বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছেন রোটো-র যুগ্ম অধিকর্তা তথা এসএসকেএমের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক অর্পিতা রায়চৌধুরী-‘শর্ট ফিল্মে মরণোত্তর অঙ্গ প্রতিস্থাপন নিয়ে যে ভাবে বার্তা দেওয়া হয়েছে, তাতে শোকার্ত পরিবারগুলি অঙ্গদানে সম্মতি দেওয়ায় প্রেরণা পাবে।’
মণিময় মনে করেন, মরণোত্তর অঙ্গ প্রতিস্থাপন নিয়ে যেহেতু বাংলায় এটিই প্রথম সিনেমা, তাই এর সচেতনতামূলক আবেদন অনস্বীকার্য। ছবিটি পরিচালনা করেছেন পিজি-র শল্য চিকিৎসক প্রসেনজিৎ চৌধুরী। মুখ্য চরিত্র অ্যালবার্টের ভূমিকায় পিজি-র প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সৌভিক অধিকারী। সিনেমায় তুলে ধরা হয়েছে, কী ভাবে দুর্ঘটনায় আহত চরিত্র সৌম্যদীপ মুখোপাধ্যায়ের ব্রেন ডেথের পর তাঁর মরণোত্তর হাতটি দান করার জন্য পরিবারকে বুঝিয়েছিলেন চিকিৎসক ইমতিয়াজ খানের ভূমিকায় অভিনয় করা আবির। সেই সূত্রেই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী অ্যালবার্টের জীবন নতুন করে শুরু হয় পুরোনো ছন্দে।