Bengal Government moves to Kolkata High Court seeking permission to lodge FIR against Suvendu Adhikari


অর্ণবাংশু নিয়োগী: সুপ্রিম কোর্ট ফিরিয়ে দিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ রাজ্যের। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ। কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন রাজ্যের কৌঁসুলি। আসানসোলে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার অনুমতি চেয়ে মামলা দায়ের হল হাইকোর্টে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা দায়ের হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, আসানসোলে পদস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনায় প্রথমে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিরুদ্ধে এফআইআর করার অনুমতি চেয়ে আবেদন জানান রাজ্যের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে আবেদন জানান। কারণ রাজ্যে কোনও এফআইআর করার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। যে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যকে কলকাতা হাইকোর্টেই আবেদন করার পরামর্শ দেয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। ফিরিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত। তারপরই হাইকোর্টে রাজ্য।

বুধবার সন্ধ্যায় আসানসোলের রামকৃষ্ণ ডাঙার মাঠেই শিবচর্চা ও কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। আয়োজক ছিলেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালী তিওয়ারি। কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে ৩-৪টি কম্বল বিলি করে মঞ্চ থেকে নেমে যান শুভেন্দু। শুধু কম্বল বিতরণের জন্যই নয়, শিবচর্চা শোনা ও দেখার জন্যও মহিলারা উপস্থিত হয়েছিলেন মাঠে। বেশিরভাগ মহিলা শিবচর্চার জন্য এসেছিলেন। ভজন কীর্তন শোনার জন্য এসেছিলেন। গঙ্গা আরতির মতো যে আরতি হচ্ছিল, সেই আরতি দেখতে এসেছিলেন। সেই জন্যই বিশাল ভিড় হয়ে গিয়েছিল। কমপক্ষে ৮ হাজার মানুষের জমায়েত হয়েছিল। ওদিকে এ প্রসঙ্গে পুলিস কমিশনার সুধীর কুমার জানিয়েছেন, কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি পুলিসের। মহিলাদের এত ভিড় হবে, তাঁরা জানতে পারেননি। 

আরও পড়ুন, Dilip Ghosh | Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর ডেট-লাইনকে দিলীপের ‘তারিখ পে তারিখ’ কটাক্ষ!

যদিও জিতেন্দ্র তিওয়ারি দাবি করেছেন, তাঁর স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি স্থানীয় থানায় একটি লিখিত চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিস সূত্রে খবর, সেই চিঠিতে কত ভিড় হবে তা লেখা ছিল না। শুধু লেখা ছিল মেগা কম্বল বিতরণ ও শিবচর্চার অনুষ্ঠানের কথা। পুলিস ও প্রশাসনের সঙ্গে আয়োজক কর্তাদের আলোচনার অভাবেই বেঘরে প্রাণ হারিয়েছে ১৩ বছরের এক কিশোরী সহ ২ মহিলার। এমনটাই মনে করছেন স্থানীয়রা। শুধু প্রাণহানি যে ঘটেছে এমনটাই নয়, পদস্পৃষ্ট হয়ে আহত প্রায় শতাধিক। বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৮ জন। 

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *