বিষয়টি মাত্রা ছাড়ায় রবিবার। ওই দিন রাতে ফের ভূপেন্দ্রনগরে অঙ্কিত ও তাঁর দুই ভাইয়ের সঙ্গে মণীশ ও তাঁর দাদার ঝামেলা বাঁধে। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। মণীশকে সেখানে ছুরি মারার অভিযোগ ওঠে অঙ্কিতের বিরুদ্ধে। আহত মণীশক জখম অবস্থায় তাঁকে ভক্তিনগর থানার সামনে একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ভোররাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই মৃত যুবকের পরিবারের লোকজন ও চেনা পরিচিতরা নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালায়। পরে ঘটনার খবর পেয়ে ভক্তিনগর থানার পুলিশ যায়।
খবর পেয়ে সেখানে যান পুলিশ কমিশনার অখিলেশ কুমার চর্তুবেদী । তিনি গিয়ে ভিড় সরান। এদিকে নার্সিংহোমে ভাঙচুরের অভিযোগে দুই জনকে আটক করে পুলিশ। এদিকে মণীশ গুপ্তকে খুনের অভিযোগে ভক্তিনগর থানার পুলিশ অঙ্কিত শর্মা, প্রভাত শর্মা, রোহিত শর্মা নামে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের সোমবার জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠায় পুলিশ।
জানা গিয়েছে, অঙ্কিত শর্মাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করবে পুলিশ। খুনে অভিযুক্তের বাইকে আগুন লাগানোর চেষ্টা করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তা আটকায়। অভিযুক্তরা একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতো ভূপেন্দ্রনগরে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ কমিশনার অখিলেশ কুমার চর্তুবেদী জানান, তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে খুনের ঘটনায়। নার্সিংহোমে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত আরও কয়েকজনের খোঁজ করছে পুলিশ।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।