মহিলার শরীর স্পর্শ করলেই লাগছে বিদ্যুতের ‘ঝটকা’!
শুক্রবার সকাল থেকেই ওই মহিলাকে স্পর্শ করলেই তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিদ্যুতের ঝটকা অনুভব করেন। প্রথমে তাঁরা মনে করেন বিষয়টি তাঁদের মনের ভুল। পরে অবশ্য ঘরের সমস্ত সুইচ বন্ধ করে তাঁরা বুঝতে পারেন মনের ভুল নয়, আসলেই ওই মহিলাকে স্পর্শ করলে শক লাগছে তাঁদের। ওই মহিলা বলেন, “রবিবার পর্যন্ত আমরা এই সমস্যায় ভুগেছিলাম। এরপর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা। তাঁরা আমাকে বাড়িতে খালি পায়ে হাঁটাচলা করার পরামর্শ দেন। এরপর আমি তা পালন করি। এরপর আমার গায়ে স্পর্শ করলে আর বিদ্যুতের ঝটকা লাগছে না। ভয়ে আমি শ্বশুরমশাইকে আত্মীয়র বাড়িতে রেখে এসেছিলাম। সুস্থ হওয়ার পরে তাঁকেও ফিরিয়ে এনেছি। আপাতত খালি পায়ে হাঁটাহাঁটি করছি।”
কিন্তু, কেন ঘটল এই ঘটনা?
বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের রাজ্য কমিটির সদস্য চন্দন দেবনাথ বলেন, “এই ঘটনার খবর পেয়ে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর এই এলাকাটিকে বিদ্যুৎছিন্ন করেন। আধঘণ্টা পর তাঁর শরীরে বিদ্যুৎ বইছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হয়। তাঁরা নাকি শরীরে টেস্টার ছোঁয়াতে লাইট জ্বলতে দেখা গিয়েছে। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্ত ছড়িয়েছে। খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই।”
তিনি আরও বলেন, “প্রতিটি মানুষের শরীরে ইলেকট্রন কাজ করে। আমাদের মানুষের শরীরে নিউট্রন, প্রোটন, ইলেকট্রন কাজ করে। প্রোটন কম হলেই সমস্যা শুরু হয়। এটা যে কারও শরীরে হতে পারে। মূলত মহিলাদের ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে। আমরা তাঁকে খালি পায়ে হাঁটার পরামর্শ দিয়েছিলাম। তাঁর শরীরে কোনও বিদ্যুৎ এরপর বয়নি বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে শরীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই।” ঘটনার জেরে রীতিমতো আতঙ্কে ওই মহিলার পরিবার। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবারের সকলেই সুস্থ থাকুক, এটাই তাঁদের কামনা।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।