পোস্টারে ঠিক কী লেখা?
গলায় গেরুয়া উত্তরীয় এবং সাদা পাঞ্জাবিতে একটি কার্টুন ছবি সেখানে রয়েছে। ছবিটির সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর মিল পাচ্ছেন অনেকেই। তার নীচে লেখা- “এমন কোনও ব্যক্তিকে খুঁজে পেলে দ্রুত সন্ধান দিন। রূপ- দেখতে গোলগাল, নাদুস নুদুস। মেরুদণ্ড নেই। গলায় গেরুয়া উত্তরীয়। ঠিকানা- কাঁথি। অসুখ-ভোট এলে লাইট বন্ধ করে দেন। নিয়মিত “দুশো দুশো” চিৎকার করে মধ্যরাতে ঘুম থেকে উঠে পড়েন। অকারণ ভাট বকতে ভালোবাসেন। ডিসেম্বরে সরকার ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন ,তারপর লজ্জাবতী হয়ে মুখ লুকান…” একইসঙ্গে গ্যাসের দাম বাড়লেও চুপ থাকেন সহ একাধিক ‘আক্রমণাত্মক উপমা’-ও এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে।
তৃণমূলের আইটি সেলের থেকে এই পোস্টার? খোলসা করলেন দেবাংশু…
এই পোস্টারগুলি প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য আইটি সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই সময় ডিজিটাল-কে বলেন, “একজন ব্যক্তি ডিসেম্বর ডিসেম্বর করে হেঁচকি তুলছিলেন। ১২, ১৪, ২১- তারিখের কথা বলছিলেন। তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। নিজের বক্তব্য থেকে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন। এই ধরনের এক ব্যক্তি যাঁর কিছু রাজনৈতিক রোগ রয়েছে তাঁর বর্ণনা নিয়ে আমরা সাধারণ মানুষের কাছে গিয়েছি। মানুষ যদি সেই ব্যক্তির সঙ্গে কারও খোঁজ পান আমাদের অবশ্যই জানাবেন। সেই ব্যক্তির কিছু রাজনৈতিক গুণ, রাজনৈতিক রোগ, চিহ্ন আমরা দিয়েছি। মানুষ আশা করি তা দেখে বুঝতে পারবেন। কিন্তু, এখন দেখছি BJP-র কিছু নেতা বিচলিত হয়ে পড়ছেন। তাহলে বুঝতে হবে ঢিল বোধহয় ঠিক জায়গাতেই পড়েছে।” অর্থাৎ নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকেই আক্রমণ করেছে তৃণমূল তা স্পষ্ট। শুধু একটি জায়গা নয়, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় এই পোস্টার সাঁটানো হয়েছে।
ঠিক কী প্রতিক্রিয়া BJP-র?
এই প্রসঙ্গে BJP নেতা রাহুল সিনহাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি পালটা তৃণমূলকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস দিশেহারা। নিজেদের মধ্যে লড়াই, চুরি, গোরু পাচার ইত্যাদি বিষয় সামনে আসছে। তাই দিশেহারা হয়ে ওরা আরও নীচে নামছে। এই ঘটনা তার জ্বলন্ত উদাহারণ। রাজনৈতিক ভাবে আক্রমণ করার ইস্যু না থাকলে এই ধরনে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে। বিনাশ কালে বিপরীত বুদ্ধি।”