কিছুদিন আগেই পঞ্চায়েত প্রধান এসকে সেলিমের নামে ‘এক ডাকে অভিষেক’ হেল্পলাইনে অভিযোগ জমা পড়েছিল। পঞ্চায়েতে দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে বলে খবর। এরপরেই দলীয় স্তরে তদন্ত করে দেখে যায়, অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। দ্রুত সেই প্রধানকে পদত্যাগের নির্দেশ দেয় তৃণমূল। মঙ্গলবার রাতে তৃণমূলের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) শান্তিপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এসকে সেলিম আলিকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ দলীয় তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার কারণেই তাঁকে পদত্যাগ করতে বলা হয়।
তবে এদিন পঞ্চায়েত প্রধান এসকে সেলিম স্থানীয় BDO-কে পদত্যাগ পত্র পাঠানোর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, শৃখলাভঙ্গ বা দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে দল থেকে তাঁকে যা বলা হয়েছে, সেটি প্রকাশ্যে আনতে তিনি রাজি নন। তবে দলীয় নির্দেশ থাকলেও মূলত শারীরিক অসুস্থতার কারণেই তিনি একাধিক পদের দায়িত্ব সামলাতে পারছে না। সে কারণেই পঞ্চায়েত প্রধান পদ থেকে অব্যাহতি চাইছেন বলে জানান তিনি। প্রশ্ন উঠছে, ঠিক যেদিন দল তাঁকে এ বিষয়ে চিঠি পাঠালো, ঠিক সেদিন বয়সজনিত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করার কথা কী করে মনে হল তাঁর ?
চলতি মাসের শুরুতেই পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলাতেই মারিশদার পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান এবং অঞ্চল সভাপতিকেও পদত্যাগ করতে হয় দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নির্দেশে। এর দু’দিন আগেই কাঁথিতে জনসভার আগে আচমকাই মারিশদার গ্রামে হাজির হন অভিষেক। তাঁকে কাছে পেয়ে, অভাব-অভিযোগের কথা জানান গ্রামবাসীদের একাংশ। সেখানে তাঁকে দেখে অভাব-অভিযোগের কথা জানান স্থানীয়রা। বাড়ি নেই, জল দাঁড়ায় বর্ষায়, পানীয় জলের সমস্যা এমন নানা অভিযোগ উঠে আসে। এরপরেই নিজের মিটিংয়ের মঞ্চ থেকে তিন পদাধিকারীকে সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেন অভিষেক।