স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে (Major Fire outbreak) ভস্মীভূত হয়ে যায় প্রায় ৪০ টি দোকান। শুধু তাই নয় আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল উলুবেড়িয়ার শতাব্দী প্রাচীন উলুবেড়িয়া ইনস্টিটিউট এন্ড লাইব্রেরী (Uluberia Institute & Library)। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১ টা নাগাদ উলুবেড়িয়া লকগেট, উলুবেড়িয়া বাজার, ফুলেশ্বর ১১ ফটকে থাকা বেশ কয়েকটি দোকানে আগুন লাগে। ফল থেকে জুতো, জামাকাপড় থেকে খাবারের দোকান দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে আগুন লাগার বিষয়টি দেখতে পান। শীতের রাতে গমগম করা বাজার এলাকা তখন অনেকটাই নিস্তব্ধ। যতক্ষণে আগুন লাগার বিষয়টি তের পাওয়া যায়, তখন আগুন অনেক গুলো দোকানে ছড়িয়ে পড়েছিল।
প্রাথমিকভাবে ব্যাবসায়ীরাই জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। আগুন দেখেই দমকলকে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে দমকলের ৩ টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগায়। যদিও ততক্ষণে আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে দোকানগুলি। স্থানীয় ব্যাবসায়ীদের দাবি আগুনে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দমকল জানিয়েছে, দোকানগুলির মধ্যে অনেক জায়গাতেই দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন লাগার পর ছড়িয়ে পড়ে। একটার পাশে আরেকটি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি বেশি। কোনওভাবে শট সার্কিট বা বৈদ্যুতিক অব্যবস্থার কারণেই আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখছে দমকল।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ সেপ্টেম্বর হাওড়া ময়দানে (Howrah Maidan) একটি ব্যাগের দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয় (Fire)। ধোঁয়া দেখে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। জি প্লাস ফাইভ বিল্ডিংয়ের ফাস্ট ফ্লোরে আগুন লাগার চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। খবর দেওয়া হয় দমকল ও হাওড়া থানায়। খবর পেয়ে প্রথমে ঘটনাস্থলে দমকলের একটি ইঞ্জিন এলেও পরে আরও বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন আনা হয়। পরে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দমকলের আটটি ইঞ্জিন এসে আধ ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।