দমকলের (Fire Brigade) চারটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর কাজ চালালেও তাঁদের রীতিমত বেগ পেতে হয়। দমকল ছাড়াও জুট মিলের কর্মীদের দেখা যায় মগ বালতি নিয়ে জল ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করতে। এই বিষয়ে কাঁকিনাড়া স্টেশন (Kankinara Station) অফিসার সাংবাদিকদের জানান, “আমাদের চারটি ইঞ্জিন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ চালাচ্ছে। পুরো নিয়ন্ত্রনে না এলেও আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে এই মুহূর্তে। প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুন লেগেছে, কিন্তু এখনই বিশদে বলার সময় আসেনি।”
তিনি আরও বলেন, “ক্ষয়ক্ষতি প্রচুর হলেও, কারোর আহত হওয়ার খবর এখনও পর্যন্ত নেই।” জুট মিলের এক কর্মচারী বিনোদ কুমার সাউ জানান, “শীতকালে জুট মিলে মাঝে মধ্যে আগুন লাগলেও সেটা এত ভয়ঙ্কর ভাবে লাগে না। কর্মীরাই সেই আগুন আয়ত্তের মধ্যে আনেন। কিন্তু এবারের আগুন এত ভয়াবহ দেখেই দমকলকে খবর দেওয়া হয়। তিনটে ডিপার্টমেন্ট পুরো ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে।”
দিন দুয়েক আগেই উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জে (Raiganj) একটি পাটের গুদামে ভয়াবহ আগুন লেগেছিল। সেই আগুন আয়ত্তে আনতে সময় লেগেছিল ২০ ঘণ্টারও বেশি। দমকলের ৭টি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ চালিয়েছিল। বিধ্বংসী আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল গুদামে মজুত করা বিপুল পরিমাণ পাট। সঙ্গে দুটো লরিও আগুনে ভস্মীভূত হয়েছিল। পাটের গুদামের পিছনে অবস্থিত অপর একটি গুদামেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বড় গুদামে অগ্নি নির্বাপনের তেমন কোনও ব্যবস্থা না থাকায় প্রশ্ন উঠেছে মালিকদের গাফিলতির দিকে।