Kolkata Latest News : যোশীমঠের মতো হুড়মুড়িয়ে ধসে যেতে পারে গোটা কলকাতা! কী বলছেন বিশেষজ্ঞ? – joshimath sinking can be a warning bell for kolkata says expert dr sujib kar


যে কোনও সময় যোশীমঠ (Joshimath Sinking) হুড়মুড়িয়ে সে যেতে পারে, আশঙ্কা করা হচ্ছে এমনটাই। শহরের একাধিক ঘরে দেখা গিয়েছে চওড়া ফাটল। প্রায় ৬০০ বাড়ির সদস্যদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী (Pushkar Singh Dhami)। হিমালয়ের কোলে থাকা যোশীমঠের এই বিপদ দেখে চমকে উঠছেন অনেকেই। অলকানন্দা তীরে অবস্থিত যোশীমঠের এই অবস্থান দেখে কেঁপে উঠছেন অনেকেই। মানুষের কীর্তি কলাপেই কি তবে ফুসছে প্রকৃতি। এই ফাটল রেলার সঙ্গে কি রাজ্যের কোনও যোগাযোগ রয়েছে? কোনও বড় বিপদে নেই তো শহর কলকাতা সহ গোটা বাংলা? এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করেছেন Geomorphologist ড. সুজীব কর।
তিনি বলেন, “এই পুরো পরিস্থিতি ‘ম্যানমেড’। এর আগে হিমবাহ ফেটে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে শিলাস্তর আস্তে আস্তে কুঁচকে যেতে থাকে। পাশাপাশি উপরের শিলাস্তর এবং নীচের শীলাস্তরের মধ্যে একটি ফাঁকা অংশ তৈরি হয়। যোশীমঠের অঞ্চলটি ‘মেন বাউন্ডারি ফল্ট অঞ্চল’। অর্থাৎ মধ্য হিমালয় ও হিমালয়ের মধ্যবর্তী সংযোগকারী চ্যুতিরেখাটিই ‘MBF’। আর এর জন্য স্থানটা অত্যন্ত দুর্বল।”

Joshimath : কেন তলিয়ে যাচ্ছে যোশীমঠ? ১৯৭৬ সালেই বিপদ সংকেত দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা
যোশীমঠ একপ্রকার নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। কোনওভাবে এই ভয়াবহ পরিণতির প্রভাব কি পড়তে পারে বাংলাতে? ড. সুজীব কর বলেন, “বাংলাতেও এর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ, হিমালয়ে যদি কোনও ধ্বংসের ঘটনা ঘটে সেক্ষেত্রে বঙ্গোপসাগরের জলস্তর অতি দ্রুত বৃদ্ধির একটা সম্ভাবনা থাকে। সেই কারণে সুমদ্রতীরবর্তী এলাকাগুলি বিপদে রয়েছে বলা যেতে পারে। এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটলে সুন্দরবন ডুূবে যেতে পারে।

Joshimath Sinking : ধসে যাচ্ছে যোশীমঠ, ৬০০ পরিবারকে অন্যত্র সরানোর নির্দেশ ধামী প্রশাসনের
উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুরেও এর প্রভাব পড়বে। দক্ষিণ কলকাতাও অত্যন্ত বিপদে বলা যেতে পারে। এইসব ক্ষেত্রে পার্ক স্ট্রিট সহ দক্ষিণ কলকাতা তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।” উল্লেখ্য, হিমালয়ান সুনামির পর যোশীমঠের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। হিমালয়ের ভূমিধসের উপরে এই জনপদ তৈরি হয়েছিল। পাহাড়ের গায়ে তৈরি হয় হোটেল, বাড়ি। আর গত কয়েক বছরের বেপরোয়া নির্মাণে প্রকৃতির উপর আরও চাপ বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *