দীঘা মোহনায় দেখা গেল বিরল প্রজাতির কচ্ছপ। ছবি তোলার জন্য ভিড় জমান পর্যটকদের।

হাইলাইটস
- ফের দীঘা মোহনায় দেখা মিলল বিরল প্রজাতির কচ্ছপের।
- কি কারনে এই মৃত কচ্ছপ গুলি ভেসে আসছে তা কেউই বলতে পারছেন না।
- স্থানীয়দের কথায়, এই সমস্ত কচ্ছপ গুলি সাধারণত মাঝ সমুদ্রে থাকে।
কোনও কোনও সময় সরকারের কোপে পড়ার ভয়ে মাঝ সমুদ্রেই অনেক মৎস্যজীবী ফেলে দেন এই কচ্ছপগুলোকে। পরে তারা ভেসে আসে সমুদ্রে তীরে। যদিও বা মৎস্য দপ্তরের পক্ষ থেকে এই বিরল প্রজাতির কচ্ছপকে ধরা নিষিদ্ধ রয়েছে। কিন্তু মৎস্যজীবীদের কথা অনুযায়ী, তাঁরা ইচ্ছাকৃত ভাবে কখনই কচ্ছপ ধরেন না। কখনও কখনও মাঝ সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে মাছ ধরার মোটা জালে কচ্ছপ আটকে যায়। তখন তাঁদের কিছুই করার থাকে না। সেই কচ্ছপ ধরে নিয়ে এলে কচ্ছপ ধরার অপরাধে প্রশাসনের কোপে পড়তে হতে পারে। তাই তাঁরা সমুদ্রের জলেই সেই কচ্ছপ ফেলে দিয়ে আসেন। শুধু মৎস্যজীবী না, চোরাশিকারিদের থেকেও ভয় আছে এই বিরল প্রজাতির কচ্ছপদের।
কালোবাজারে চড়া দামে বিক্রি হয় কচ্ছপের মাংস। চোরাশিকারিরা সেই সমস্ত জায়গায় কচ্ছপ ধরে এনে বিক্রি করে দেয়। তবে এই ধরনের চোরাশিকারকে বন্ধ না করলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে বলে জানাচ্ছেন মৎস্য দপ্তরের আধিকারিকরা। কদিন আগেই ভাঙড়ের কাশীপুর থানার পোলেরহাট থেকে ২০০টি বিরল প্রজাতির এমন কচ্ছপ উদ্ধার করে পুলিশ। ভোজেরহাট থেকে একটি গাড়িতে করে কচ্ছপগুলি বসিরহাটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পোলেরহাটে ওই গাড়িটিকে আটকে তল্লাশি শুরু করে। এর পরই একের পর এক বস্তাবন্দি বিরল প্রজাতির কচ্ছপ উদ্ধার হয়। তারপর বন দফতরের আধিকারিকদের খবর দিয়ে কচ্ছপগুলি বন দফতরের আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ