West Bengal Local News: তৃণমূল বিধায়ক কালীপদ মণ্ডলের মন্তব্যের প্রসঙ্গ নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। রবিবার খড়গপুরে প্রার্তভ্রমণে বেরিয়ে বোগদা এলাকায় চা-চক্রে দিদির দূত থেকে আবাস যোজনা একাধিক ইস্যুতে সরব হন বিজেপি নেতা।
এদিন সকালে কালীপদ মণ্ডলের মন্তব্যে দিলীপ বলেন, ”আবাস যোজনা (PM Awas Yojana) নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছে তৃণমূল বিধায়ক। অনেকদিন ধরে আমরা আবাস যোজনা নিয়ে অভিযোগ করে আসছি। কেন্দ্র সরকারকেও জানিয়েছি। এখন তদন্ত চলছে। তাই হয়তো নেতারা মেনে নিচ্ছেন। বিডিওর নামে চালালে হবে না। বিডিও চুরি করে থাকলে তাঁকে সাসপেন্ড করুক, শাস্তি দিক। আপনারা চাপ দিয়ে বিডিওকে করিয়েছেন। আমরা যখন বিডিও অফিস ঘেরাও করছি, বিডিও হাত তুলে বলছে আমি কি করব। আমাকে করানো হচ্ছে। তৃণমূলের নেতারাই করিয়েছেন। নেতারা সেই কর্মচারীদের সঙ্গে গিয়ে তাদের বাধ্য করছেন লিখতে। যার পাকা বাড়ি আছে তার নামও লিখে দিচ্ছে। শুধু কর্মচারীদের দোষ দিলে হবে না। তৃণমূল পার্টির পলিসিতে এটা হয়েছে। সেই জন্য দোষ যেমন কর্মচারীরা করেছেন, তেমন নেতারাও করেছেন। তাদের যদি দম থাকে সেই বিডিওদের সাসপেন্ড করে দেখান। যারা এই ধরনের গন্ডগোল করেছে।” Trinamool Congress : ‘দিদির ভূতরা বাড়ি আসবে…’, চুঁচুড়ার পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য
নন্দীগ্রামের জয়ে সিপিএম ভোটের অবদান নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ”ওখানে যারা একসময় সিপিএমকে ভোট দিত তারা আমাদের দিকে এসেছে। তার জন্য আমরা জিতেছি এটা উনি ভালো করে জানেন। এটা ঠিক ওখানকার মুসলিম ভোট তৃণমূলের দিকে গিয়েছে। বেশিরভাগ হিন্দু ভোট বিজেপির দিকে এসেছে। তাই আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে পেরেছি। এতে কোনও সমীকরণ নেই।পশ্চিমবঙ্গের মানুষ খুব সচেতন। তারা যদি মনে করেন টিএমসিকে হারানোর জন্য এক জায়গায় আসার দরকার, তারাই ঠিক করে নেবেন। যেমন সিপিএমের বিরুদ্ধে, সমস্ত বিরোধী এক জায়গায় হয়ে তৃণমূলকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছিল। এখানকার জাগ্রত জনতা তারা ঠিক করবেন তারা কাকে ভোট দেবেন। বিজেপির কারও সঙ্গে সমঝোতা করার দরকার নেই।”
দিদির দূত কর্মসূচি নিয়েও দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করেন। একইসঙ্গে রাজ্যে সিবিআই ও ইডি কেন্দ্রীয় সংস্থার সক্রিয়তাকে তৃণমূল ভয় পেয়েছে বলে মন্তব্য দিলীপ ঘোষের। দিদির দূত সম্পর্কে তিনি বলেন, ”দিদির দূতরা আগে বেরোক। তার আগে দিল্লির দূতরা পৌঁছে গেছে। এখন তৃণমূলের নেতারা বাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে। জিনিসপত্র লুকিয়ে রাখছে গাড়ি-বাড়ি লুকোচ্ছে। এখন বাড়িতে থাকছে না যাতে ধরা না পড়ে।” এখানেই শেষ নয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন না মেলা প্রসঙ্গেও আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্যক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।