পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই এই খুন। যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ”গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কোনও ব্যাপার নেই। পারিবারিক বিবাদে এই খুন।” উল্লেখ্য, নিহত তৃণমূল কর্মী বালি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সূত্রের খবর বেশ কয়েক বার এই ব্যবসায় বিবাদের জেরে সামনে এসেছে তাঁর নাম। বালি ব্যবসার কোনও সমস্যার কারণে এই দুর্ঘটনা কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনা নিয়ে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, ”বালি ব্যবসার ভাগ ঠিকঠাক না পাওয়ার কারণেই এই ধরনের ঘটনা। তাই দুলাল শেখকে মৃত্যুবরণ করে নিতে হল।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুলাল শেখ বালির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল, ঠিকাদারি করতেন বলেও জানা গিয়েছে। তবে এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত, সুনামও আছে। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে কেতুগ্রামের আমগরিয়ায় গিয়েছিলেন কাজে। সেখানেই বাজারে বসে গল্প করতে করতে চা খাচ্ছিলেন। সেখানে দুই যুবক বাইকে করে এসে একেবারে কাছ থেকে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরিবারের দাবি, দলের অন্দরের বিরোধী গোষ্ঠীর কাজ। যদিও কেতুগ্রামে, মঙ্গলকোটে এর আগে বালি ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বোমাবাজি পর্যন্ত হয়। কেন এই খুন তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। খুঁজে দেখা হচ্ছে এই এলাকার কোনও সিসিটিভিতে কোনও কিছু ধরা পড়েছে কিনা। পুলিশের অনুমান, কোনও চেনা ব্যক্তিই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। তবে দিনের বেলা জনবহুল এলাকায় শুটআউটের ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয়রা।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠাচ্ছে। ব্যক্তিগত আক্রোশ নাকি ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়েও তদন্ত তদন্ত শুরু হয়েছে।