সানিকে একা পেয়ে মিলন থাপা এবং তার দলবল তাকে বেধড়ক মারধর করে। সানিকে বাঁচাতে ছুটে আসেন মন্দিরের পুরোহিত (Priest) অবোধ কিশোর ওঝা। তাকেও দুষ্কৃতীরা মারধর করলে তিনি রাস্তায় পড়ে যান। তার মাথায় গুরুতর চোট লাগে। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে দক্ষিন হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে (South Howrah State General Hospital) এবং পরে নারায়না সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Narayana Super Specialty Hospital) নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বি গার্ডেন থানার পুলিশ (B garden Police Station)। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে নামানো হয় র্যাফ। হাওড়া সিটি পুলিশের (Howrah City Police) উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বি গার্ডেন থানার পুলিশ (B garden Police Station) দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের নাম মহম্মদ আলতাফ ও পারভেজ মোশারফ।
বি গার্ডেনের তিন নম্বর গেট এলাকা বরাবরই জনবহুল এলাকা। সব সময় ভিড় লেগেই থাকে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ভিড়ের মধ্যে যাতে দ্রুত গতিতে টোটো চলাচল না করতে পারে, সেই জন্য রাস্তায় পাথর রাখা হয়েছিল। শুক্রবার সেই পাথর সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেই ঝামেলা লেগে যায় সানি যাদব ও মিলন থাপার মধ্যে। এলাকার এক বাসিন্দা জানান, “বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে এসে ওই দোকানদারের ওপর হামলা চালায় ওই টোটোচালক। সানিকে ওই ভাবে মার খেতে দেখে পুরোহিতমশাই দাঁড়িয়ে থাকতে পারেননি। ওদের দুজনের ঝামেলার মধ্যে পড়ে প্রাণ হারালেন পুরোহিতমশাই। পুরোহিত হিসেবে এলাকায় যথেষ্ট নামডাক ছিল তাঁর”।