পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে শুরু করে কেউ তাদের এই সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। পঞ্চায়েত সদস্যরা শুধু নিজেরাই টাকা পয়সা করেছেন বলে জানান বাসিন্দাদের একাংশ। কিন্তু দুঃখের বিষয় রাজ্য সরকার যখন জনমুখী বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প চালু করেছেন তাও তাঁরা সেই উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত! এমনকি বাড়ি থেকে ১ কিলোমিটার দূরে গিয়ে পায়ে হেঁটে গ্রামের মহিলারা মহানন্দা নদীর জল নিয়ে যান বাড়িতে এবং সেই জলেই বাড়ির রান্না থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ করা হয়। যদিও এলাকায় একটি নলকূপ রয়েছে কিন্তু সেই জল আয়রন যুক্ত। যার ফলে সেই জল খেয়ে অসুখ-বিসুখ লেগেই রয়েছে।
আগামী পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Elections) আগে যদি তাদের এলাকায় জল সমস্যার (Drinking Water) সমাধানের ব্যবস্থা না করা হয় তাহলে তারা ভোট বয়কট করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। যদিও এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সাহাপুর তৃণমূল (TMC) গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জানান, “আমার গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এরকম কোনও গ্রাম নেই যেখানকার মানুষজনেরা নদীর জল খাচ্ছেন।” তিনি জানান পঞ্চায়েত অফিসে অর্থের মিটিং এর জন্য সবাইকে ডাকা হলে বিরোধীরা আসেন না। সেই কারণে বিভিন্ন সমস্যা গুলো আটকে রয়েছে।
পাশাপাশি, এ বিষয়ে পাল্টা BJP-র উত্তর মালদহ সাংগঠনিক সহ-সভাপতি তাপস গুপ্তা জানান, “এখনকার যুগেও গ্রাম বাংলার মানুষদের নদীর জল খেতে হচ্ছে এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বিষয়। কেন্দ্রীয় সরকার যেখানে জল জীবন মিশন প্রকল্প চালু করেছেন, অথচ আমাদের এই সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষেরা এখনও বঞ্চিত।” এ নিয়ে তিনি দায় ঠেলেছেন খোদ প্রশাসনের ওপর। পঞ্চায়েত প্রধান এ বিষয়ে অক্ষম বলে অভিযোগ করেন।