জমি থেকে নতুন আলু তোলার পর সিংটি গ্রামের এই মেলায় একদিকে গ্রামবাসীরা মুড়ি ও নুতন আলুর পাশাপাশি বাড়ি থেকে আলুরদম তৈরি করে নিয়ে আসেন। অনেকে আবার মেলায় আগুন জ্বালিয়ে মাঠে বসেই আলুর দম তৈরী করে মানুষের হাতে তুলে দেয়। অন্যদিকে ক্যানিং , হাসনাবাদ, সুন্দরবন, কাকদ্বীপ থেকে বিভিন্ন ধরণের বিভিন্ন সাইজের কাঁকড়া নিয়ে মেলায় আসেন কাঁকড়া বিক্রেতারা। আর বছরের এই বিশেষ দিনটাতে আলুর দম খাওয়ার পাশাপাশি কাঁকড়া কিনতে দূর দূরান্ত থেকে প্রচুর মানুষ ছুটে আসে সিংটি গ্রামে।
এই অভিনব মেলার বিশেষ গল্প
কথিত আছে আনুমানিক ৭০০ বছর আগে আরব দেশ থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে উদয়নারায়ণপুরের সিংটি গ্ৰামে আসেন এক মুসলমান পীর। গ্রামের লোকেদের কাছে তিনি “ভাই খাঁ” নামেই পরিচিত ছিলেন। লোকশ্রুতি ভাই খাঁ অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। তাই মানুষজন তাঁকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করত। ৩০ পৌষ ভাই খাঁ পীর পরলোকগমন করেছিলেন এবং তার পরেরদিন তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়েছিল । সেইদিন তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে লক্ষাধিক মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। মাঘ মাসের প্রথম দিন ছিল সেই দিনটি। অত মানুষ আসায় সেখানে নাকি একটা মেলা বসে গিয়েছিল। তখন থেকেই প্রত্যেক বছর এইদিনে ভাই খাঁ পীরের নামেই এই মেলা বসে। অন্যান্য মেলা কয়েকদিন ধরে চললেও এই মেলা শুধুমাত্র একদিন হয়। মেলায় আসা মানুষেরা ভাই খাঁ পীরের মাজারে তারা তাদের মনস্কামনা পূরণের জন্য প্রার্থনা জানান।