এরপর সাংবাদিকদের সামনে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, “তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা মন্ত্রীরা কোথাও গেলে পিঠে যেন কুলো বেঁধে যান, তাদের ভালোর জন্য আমি এই পরামর্শ দিলাম। আর সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বলব, উত্তর চান, রাজ্য সরকারকে উত্তর দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) মিথ্যে কথায় পা দেবেন না। এই সরকার প্রচুর চুরি করেছে, ১০০ দিনের টাকা চুরি করেছে, এবার চুরির হিসেব দিন।”
সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “হিসেব দেবেন না আর কেন্দ্র আপনাকে টাকা পাঠাবে, এটা হতে পারে না। আমরা হতে দেব না। ইতিমধ্যেই সবাই দেখতে পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ তাদের ঘিরে উত্তর চাইছেন। এরপর উত্তর থেকে এগিয়ে আর এক স্টেপ বাড়বে হয়ত।” সাগর বিশ্বাসের বিরুদ্ধে যে বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা করা হয়েছে, সেই খবর BJP নেতৃত্ব কাল রাতেই জানতে পারেন। এর প্রতিবাদে দলের তরফ থেকে থানায় আন্দোলন করা হবে বলে জানান অগ্নিমিত্রা। তিনি বলেন, “এইভাবে একপেশে অত্যাচার চলতে পারে না। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে এবং আন্দোলনও চলবে। সঠিক ভাবে, ভদ্রভাবে, আইনশৃঙ্খলা মেনে নির্বাচন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এবং দলের নেতৃত্ব শিখিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা হাতে নেবেন না। আমরা সেটাই মেনে চলি। যেকোনও সমাজবিরোধী কার্যকলাপ, ধর্ষণ কারা করছে? বেশিরভাগ তৃণমূল কর্মী, নাহলে সমর্থক নাহলে কোনও নেতা। কারণ তাদের দল সেটাই শেখায়। তৃণমূলের নীতি আদর্শ এটাই।”
দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে (Didir Suraksha Kawach) গিয়ে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা মন্ত্রীরা যে বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন, তা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন BJP বিধায়ক। তিনি বলেন, “তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা যেখানে যাচ্ছেন, সেখানেই ঘেরাও হচ্ছেন। কারণ তৃণমূল কোথাও কোনও কাজ করেনি, শুধু চুরি ছাড়া। গরীব ঘরের বউ, মা, বোনেরা কেউ BJP করেন না। তৃণমূলের মহিলারাও আছেন যারা বলছেন ‘আমরা কিছু পাইনি’। কারণ তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা চুরি করেছে। শুধুমাত্র পার্থ, অনুব্রত, জাকির নন, সামান্য যুব নেতা হুগলির কুন্তল, সেও কোটি কোটি টাকার মালিক। সুতরাং এতসব কিছু মুখ্যমন্ত্রী জানেন না বাংলার মানুষ বিশ্বাস করেন না।”