গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক সূত্রে খবর, সব রাজ্যেই যাচ্ছে NLM দল। প্রথম দফায় দেশের ২৬৬টি জেলায় এদের পাঠানো হচ্ছে। এর মধ্যে আছে পশ্চিমবঙ্গের ১২টি জেলা। সেগুলি হলো – পুরুলিয়া, বীরভূম, আলিপুরদুয়ার, মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। এই দল রাজ্যে থাকবে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
আবাস যোজনার (Pradhan Mantri Awas Yojana) কাজ খতিয়ে দেখতে দুই জেলায় ঘুরে গিয়েছে কেন্দ্রীয় টিম। আরও ক’টি NLM দল রাজ্যে এসেছে আবাসের কাজ যাচাইয়ে। আবাসের কাজ দেখতে মুর্শিদাবাদের নওদায় গিয়ে বৃহস্পতিবার গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে পড়েন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। নওদার মধুপুর পঞ্চায়েতের মধুপুর ডাঙাপাড়ায় আবাসের ঘর দেখতে যান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঞ্জয় যাদব-সহ কয়েকজন সদস্য। কয়েকটি বাড়ি দেখার পরেই গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, তালিকায় যোগ্যদের নাম নেই, আছেন অযোগ্যরা। অভিযোগ খতিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি দেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।
পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের ধলহারা ১৩ গ্রাম পঞ্চায়েতের মুকুন্দপুর গ্রামে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের গাড়ির সামনে গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। তাঁদের প্রশ্ন – তালিকা ধরে কয়েকটি বাড়ি ঘুরে দেখা হচ্ছে কেন? গ্রামের সব গরিব মানুষের বাড়ি ঘুরে দেখতে হবে। কেশপুরের বিডিও দীপক ঘোষ বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে, রাস্তা থেকে গাছের গুঁড়ি সরানোর পর বেরোন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।
এ সবের মধ্যেই ১১টি গ্রামীণ প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে ১২টি জেলায় যাবে কেন্দ্রীয় টিম। রাজ্যের বক্তব্য, ১০০ দিনের গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্পের টাকা ২০২১-এর ডিসেম্বর থেকে বন্ধ রেখেছে কেন্দ্র। সেই সময়ে মজুরি বাবদ রাজ্যে জবকার্ড হোল্ডারদের প্রাপ্য ছিল প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় ৮৫৭.২৫ কিলোমিটার রাস্তা তৈরির অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। এ জন্য ৩৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা। এ পর্যন্ত প্রথম কিস্তিতে ১৭১ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। বাকি টাকা কবে আসবে, তা স্পষ্ট নয়। আবাসে ১১ লক্ষের বেশি বাড়ি তৈরির অনুমোদন এলেও টাকা আসেনি। তা হলে শুধু শুধু টিম পাঠানো কেন, উঠছে সে প্রশ্ন।