West Bengal Local News: বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য গোটা দেশে রোজগার মেলা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই রোজগার মেলা থেকে ৭১ হাজার বেকার যুবক যুবতীর কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হবে। শুক্রবার নিউটাউনের রোজগার মেলাতে ১৩৫ জন প্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার সময় কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar) উপস্থিত ছিলেন। কলকাতার রাজারহাট নিউটাউনে স্টেট ব্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট অফ লিডারশিপে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারে বিভিন্ন দফতরে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। সিকিম ইএসআই কর্পোরেশন, গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স জলশক্তি দফতর, বিএসএফ, জিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া, রেল দফতর, ইপিএফ দফতরের মতো সরকারি বিভাগে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বেকারত্বদূরীকরণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করার পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য সরকারকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী। Container Transport : কন্টেইনার পরিবহণে নয়া বন্দরের ভাবনা আন্দামানে সুভাষ সরকার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১০ লক্ষ সরকারি চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি যা বলেন, তা করে দেখান। কেন্দ্রীয় সরকারও যা বলে তা করে দেখায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের মতো আজ নিয়োগপত্র প্রদানের অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে হয়েছে। ২২শে নভেম্বর কর্মযোগী পোর্টাল চালু করা হয়েছিল। এই পোর্টালের মাধ্যমে প্রত্যেকে নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে পারবে।’
Subhas Sarkar : ‘মিথ্যে কথা বললে রামধোলাই…’, বাঁকুড়ায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্যে তুমুল বিতর্কৃ নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও তৃণমূল সরকারকে নিশানা করে বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার পারদর্শিতার সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োগ করে দেখাচ্ছে। যাঁরা চাকরি পাচ্ছেন, যাঁদের নিয়োগ করা হচ্ছে সব তথ্যই প্রকাশ্যে আসছে। অন্যান্য রাজ্যের মত পশ্চিমবঙ্গেও নিয়োগ হবে। পশ্চিমবঙ্গে সরকার যা কিছু দুর্নীতি করেছে সেগুলো নিশ্চিত ভাবে প্রকাশ পাবে। এই বিশ্বাস আমাদের আছে।’
Netaji Subhas Chandra Bose : নেতাজির কোদালিয়ায় বাড়ি ‘হেরিটেজ’ করার আগ্রহ প্রকাশ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীদের থেকে ১৯ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই প্রসঙ্গে সুভাষ সরকার বলেন, ‘একজন কাউন্সিলরের কাছে যদি দেখা যায় ১৯ থেকে ২০ কোটি টাকা বের হয় বাকি তো অনেকেই রয়েছেন। বিধায়ক মন্ত্রী ও অন্যান্য নেতারা তাদের কাছে কত বেরোবে। এটা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে ওপরের নির্দেশে এই কাজ হয়েছে। যাঁরা নিয়োগ দুর্নীতিতে ধরা পড়েছে তাঁরা খুব তাড়াতাড়ি মুখ খুলে রাজসাক্ষী হয়ে যাক। কারণ উপরের নেতাদেরও টাকা দেওয়া হয়েছে।’