CID দল আসতে পারে এমন খবর শুক্রবার থেকেই বাতাসে ভাসছিল। তার জেরে সারাদিনই শিক্ষা ভবন থমথমে ছিল। এদিন জেলা শিক্ষা দফতরে বর্তমান কর্মী ও আধিকারিকদের পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক ও কর্মীদের হাজির থাকতে বলেছিলেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অমর কুমার শীল। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অমর কুমার শীল বলেন, “অনিমেষ তিওয়ারি ও তাঁর বাবা তথা ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশিষ তিওয়ারির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে থানায় FIR করা হয়েছে।” জানা গিয়েছে, নিয়োগ নথি জাল করে মুর্শিদাবাদের সুতির গোঠা হাই স্কুলে চাকরি করছিলেন ওই ভুয়ো শিক্ষক। ভুয়ো শিক্ষকের নাম অনিমেষ তিওয়ারি। তাঁর বাবা আশিস তিওয়ারি ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এক চাকরি প্রার্থীর মামলার জেরে এমন তথ্য প্রকাশে এসেছে। অনিমেষ কর্মশিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক হিসেবে গত তিন বছর ওই বিদ্যালয়ে চাকরি করলেও মেধা তালিকায় তাঁর নাম ছিল না।
জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে গোঠা বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষককে নিয়োগের অনুমোদন দেন তৎকালীন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক পূরবী দে বিশ্বাস। এরপরে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারির ছেলে অনিমেষ তিওয়ারির চাকরি পায়। কীভাবে জাল নিয়োগপত্র তৈরি হল এই বিষয়ে ভাবাচ্ছে শিক্ষা দফতরকে (Education Department)। একজন ভুয়ো শিক্ষক যার কোন বৈধ অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে দিনের পর দিন বেতন পেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনকী অনলাইনে বেতন হলেও কীভাবে একই মেমো নম্বরে দু’জন শিক্ষকের বেতন হল তাও ভাবাচ্ছে তদন্তকারী দলকে। এই বিষয়ে খতিয়ে দেখতে শনিবার CID দল পৌঁছে যায় বহরমপুর শিক্ষা ভবনে।
CID সূত্রে খবর, এদিন তাঁরা একাধিক নথিপত্র খতিয়ে দেখেন। একাধিক শিক্ষা কর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। ইতিমধ্যেই কর্মশিক্ষার শিক্ষক পদে অনিমেষ তেওয়ারির স্কুল রেজিস্ট্রার সহ যাবতীয় নথি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। গত ১৯ জানুয়ারি গোঠা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও তার অভিযুক্ত ছেলের নামে FIR দায়ের করা হয় সুতি থানায় (Suti Police Station)।