Shah Rukh Khan, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ‘কে শাহরুখ?’ শনিবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মার এহেন মন্তব্যে বিস্মিত হয়েছিলেন সকলেই। কারণে শাহরুখ খানকে চেনে না, এহেন ব্যক্তি ভারতবর্ষে মেলা ভার। তাই তাঁর এই তাজ্জব মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রাত্রি ২ টোয় তাঁকে ফোন করে বসলেন স্বয়ং শাহরুখ। সে কথা আবার নিজেই ট্যুইট করে জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। সেই ট্যুইট দেখে হাসির রোল উঠেছে নেটপাড়ায়। কিং খানের ফ্যানেরা লিখছেন, তাহলে এবার চিনতে পারলেন তো?
রবিবার সকালে ট্যুইটে অসমের মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘বলিউডের অভিনেতা শ্রী শাহরুখ খান আমাকে ফোন করেছিলেন। রাত ২টোয় আমাদের কথা হল। তাঁর ছবির স্ক্রিনিংয়ের সময় গুয়াহাটিতে যে অশান্তি হয়েছে, সেই সম্পর্কেই খোঁজখবর নিচ্ছিলেন। নিজের অসন্তোষের কথা প্রকাশ করেন। আমি ওঁকে নিশ্চিত করেছি যে, রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। আমরা তদন্ত করব ও এ ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তা খেয়াল রাখব।’
প্রসঙ্গত, পাঠান রিলিজ করতে চলেছে ২৫ জানুয়ারি। তার আগেই শুক্রবার গুয়াহাটির নারেঙ্গিতে এক সিনেমা হলে তোলপাড় করেছে বজরং দল। পাঠানের পোস্টার ছিঁড়ে তা পুড়িয়ে ফেলেছে। ওই হলে পাঠান দেখানো যাবে না বলে হুমকি দিয়ে এসেছে বজরং কর্মীরা। ওই ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে। তখনই তিনি বলেন, কে এই শাহরুখ খান? আমি ওঁর সম্পর্কে ও ওঁর ছবি পাঠান সম্পর্কে কিছু জানি না। কোনও সমস্যা হলে বলিউডের অনেকেই ফোন করেন। যদি উনি ফোন করেন তাহলে বিষয়টি ভেবে দেখব। যারা ভাঙচুর করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্তা নেব। এনিয়ে মামলা হয়েছে। এরপরই রাত ২টোয় হেমন্ত বিশ্বশর্মাকে ফোন করেন শাহরুখ।
পাঠান ছবিতে দীপিকা পাড়ুকোনের গেরুয়া বিকিনি ও বেশরম গানটি নিয়ে প্রবল তোলপাড় শুরু করেছে হিন্দুত্ববাদী দলগুলি। তাঁদের দাবি ওই গানে গেরুয়া রঙকে অপমান করা হয়েছে। কিছুদিন আগেই মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা গিরীশ গৌতম বলেছিলেন, ‘শাহরুখের মেয়ের সঙ্গে বসে এই ছবি দেখা উচিত। আর সেই ছবি আপলোড করে জানান দেওয়া উচিত যে তিনি মেয়ের সঙ্গে বসে এই ছবি দেখছেন।’ গত সোমবার সেই বিজেপি নেতার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন বা বলা ভালো কথা রাখলেন শাহরুখ। এদিন বিকালে মেয়ে সুহানাকে পাশে নিয়ে যশরাজ স্টুডিয়োতে পাঠান দেখলেন শাহরুখ। শুধু সুহানাই নয়, এদিন পাঠান দেখতে হাজির ছিলেন আরিয়ান খান ও গৌরী খানও।