কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসবে স্কুলে স্কুলে মিড ডে মিল (Mid Day Meal) প্রকল্প খতিয়ে দেখতে। তাই জেলা প্রশাসনের নির্দেশে প্রতিনিয়ত স্কুলে যাচ্ছেন জেলা স্কুল পরিদর্শক (DI) থেকে শুরু করে ব্লক স্কুল পরিদর্শক (এসআই) এমনকি ব্লক প্রশাসনের আধিকারীকরাও। স্কুলের পরিকাঠামো দেখছেন, মিড ডে মিল সংক্রান্ত বিষয়গুলি নজর রাখছেন। কিন্তু পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার চন্দ্রকোণা (Chandrakona) ১ নম্বর ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকার প্রাথমিক স্কুলগুলির চিত্র একেবারেই অন্য।
এখানে স্কুলগুলির পরিদর্শনের ফাঁকে মাঝে-মধ্যেই একাধিক ভূমিকায় দেখতে পাওয়া যায় ব্লকের BDO রথীন্দ্রনাথ অধিকারী থেকে ব্লকের SI কৌশিক ঘোষকে। তাঁরা স্কুলে গিয়ে ছাত্রদের রিডিং শেখাচ্ছেন, পাশাপাশি অঙ্কও বুঝিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি মিড ডে মিলে (Mid Day Meal) কী খাওয়ানো হয়েছে সেই বিষয়গুলিও ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে জেনে নিচ্ছেন। ছাত্রছাত্রীদের পড়ানো থেকে শিক্ষকদের থেকে স্কুলের সুবিধা- অসুবিধার খোঁজ নিয়ে নিচ্ছেন দু’জনে। পাশাপাশি দুপুরে পড়ুয়াদের সাথে মেঝেতে বসে মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) খাবারের স্বাদও নেন দুজনেই।
BDO রথীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, “বাচ্চারা স্কুলে এসে কতটা ডেভেলপমেন্ট করছে, সেই বিষয়টি আমরা দেখছি। বিভিন্ন জায়গায় প্রশ্ন উঠেছে করোনার জেরে রিডিং করার অভ্যাস ভুলেছে ছাত্রছাত্রীরা। সেই বিষয়টিও আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি।” স্কুল পরিদর্শক কৌশিক ঘোষ বলেন, “কথাতেই বোঝা যায়, রিডিং পড়ার ক্ষেত্রে বাচ্চাদের একটু ঘাটতি থাকছে। তাই স্কুলের শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের ঠিকঠাক তালিম দিচ্ছেন কিনা, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বাচ্চাদের সঙ্গে একটু সময় কাটানো।” প্রশাসনিক কাজের ফাঁকে প্রত্যন্ত এলাকার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে মিশে নিজেরাও যেন কিছুক্ষণের জন্য ছোটবেলার স্মৃতি ফিরে পান সেই অনুভূতির কথা জানালেন উভয়েই। ব্লকের দুই প্রশাসনিক আধিকারিকের এহেন ভূমিকায় অনুপ্রেরণা জোগায় তাঁদেরও জানাচ্ছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক থেকে সহকারী শিক্ষকরাও।
