Paschim Medinipur : কখনও ছাত্র, কখনও শিক্ষক! পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্লাসে অন্য ভূমিকায় ২ আমলা – chandrakona bdo and si visit school time spend with student


West Bengal News : রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় তাঁদের কাজের চাপ বেড়েছে প্রচুর। তার মধ্যে চলতি মাসেই রাজ্যের স্কুলগুলিতে মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) অবস্থা খতিয়ে দেখতে আসবে কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। স্কুলে স্কুলে গিয়ে সেই কাজেরও তদারকি করতে হচ্ছে তাঁদের। তার মধ্যেও যেটুকু ফুরসৎ মেলে, তাতেই স্কুলের পড়ুয়াদের কিছু শিখিয়ে দিচ্ছেন। ক্লাস করে নিচ্ছেন। দুপুর হলে বাচ্চাদের সঙ্গেই বসে পড়ছেন লাঞ্চে। এক লহমায় ফিরে যাচ্ছেন নিজেদের শৈশব জীবনে। একজন ব্লকের বিডিও আর একজন SI। BDO রথীন্দ্রনাথ অধিকারী এবং ব্লকের এসআই কৌশিক ঘোষ। তবে এ ছবি একদিনের নয়। প্রায়শই দেখা যায় বলে জানাচ্ছেন স্থায়ীয় স্কুলের শিক্ষকেরা।

Primary School : স্কুলে মদ্যপ শিক্ষক! অবিলম্বে বদলির দাবিতে সরব অভিভাবকরা
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসবে স্কুলে স্কুলে মিড ডে মিল (Mid Day Meal) প্রকল্প খতিয়ে দেখতে। তাই জেলা প্রশাসনের নির্দেশে প্রতিনিয়ত স্কুলে যাচ্ছেন জেলা স্কুল পরিদর্শক (DI) থেকে শুরু করে ব্লক স্কুল পরিদর্শক (এসআই) এমনকি ব্লক প্রশাসনের আধিকারীকরাও। স্কুলের পরিকাঠামো দেখছেন, মিড ডে মিল সংক্রান্ত বিষয়গুলি নজর রাখছেন। কিন্তু পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার চন্দ্রকোণা (Chandrakona) ১ নম্বর ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকার প্রাথমিক স্কুলগুলির চিত্র একেবারেই অন্য।

West Bengal Government School : শিক্ষিকার বদলির খবরে পা ধরে আকুল কান্না পড়ুয়াদের, স্নেহের এক অন্য ছবি বসিরহাটে
এখানে স্কুলগুলির পরিদর্শনের ফাঁকে মাঝে-মধ্যেই একাধিক ভূমিকায় দেখতে পাওয়া যায় ব্লকের BDO রথীন্দ্রনাথ অধিকারী থেকে ব্লকের SI কৌশিক ঘোষকে। তাঁরা স্কুলে গিয়ে ছাত্রদের রিডিং শেখাচ্ছেন, পাশাপাশি অঙ্কও বুঝিয়ে দিচ্ছেন। এমনকি মিড ডে মিলে (Mid Day Meal) কী খাওয়ানো হয়েছে সেই বিষয়গুলিও ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে জেনে নিচ্ছেন। ছাত্রছাত্রীদের পড়ানো থেকে শিক্ষকদের থেকে স্কুলের সুবিধা- অসুবিধার খোঁজ নিয়ে নিচ্ছেন দু’জনে। পাশাপাশি দুপুরে পড়ুয়াদের সাথে মেঝেতে বসে মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) খাবারের স্বাদও নেন দুজনেই।

Tithi Bhojan Scheme : ‘তিথি ভোজনে’ অতিথি পড়ুয়াদের অসম্মান? বিতর্কে কেন্দ্র
BDO রথীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, “বাচ্চারা স্কুলে এসে কতটা ডেভেলপমেন্ট করছে, সেই বিষয়টি আমরা দেখছি। বিভিন্ন জায়গায় প্রশ্ন উঠেছে করোনার জেরে রিডিং করার অভ্যাস ভুলেছে ছাত্রছাত্রীরা। সেই বিষয়টিও আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি।” স্কুল পরিদর্শক কৌশিক ঘোষ বলেন, “কথাতেই বোঝা যায়, রিডিং পড়ার ক্ষেত্রে বাচ্চাদের একটু ঘাটতি থাকছে। তাই স্কুলের শিক্ষকরা ছাত্র-ছাত্রীদের ঠিকঠাক তালিম দিচ্ছেন কিনা, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বাচ্চাদের সঙ্গে একটু সময় কাটানো।” প্রশাসনিক কাজের ফাঁকে প্রত্যন্ত এলাকার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে মিশে নিজেরাও যেন কিছুক্ষণের জন্য ছোটবেলার স্মৃতি ফিরে পান সেই অনুভূতির কথা জানালেন উভয়েই। ব্লকের দুই প্রশাসনিক আধিকারিকের এহেন ভূমিকায় অনুপ্রেরণা জোগায় তাঁদেরও জানাচ্ছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক থেকে সহকারী শিক্ষকরাও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *