এখন তিনি একাই থাকেন। বামপন্থী আন্দোলনের একাধিক স্মৃতি আঁকড়ে তার সংসার, নিজের বলতে কেউ নেই। কিন্তু আন্দোলনকারী এই সাহসী মহিলার বর্তমান অবস্থা কিছুটা হলেও বামপন্থী আদর্শকে মাথা নিচু করার মতো জায়গায় নিয়ে যায়। কারন বর্তমানে কোনও বামপন্থী নেতার থেকেই পাননি পাশে থাকার আশ্বাস। কিন্তু মাত্র ১০০০ টাকাতে কিভাবে নিজের ওষুধ ও খাওয়া দাওয়ার খরচা চালাচ্ছেন রেনুবালা? পাঁশকুড়া পুরসভার যেই পার্টি অফিসে রেনুবালা কাজ করতেন, সেই পার্টি অফিসের দায়িত্বে থাকা বর্তমান এক বাম কর্মী জানান, “বর্তমানে পার্টির আর সেই স্বচ্ছল অবস্থা নেই। রেনুবালা দেবীর পাশে গিয়ে দাঁড়ান উচিত। কিন্তু সাধ্যের কাছে আদর্শ এখানে অনেকটাই মাথা নিচু করেছে। কারণ বামপন্থীদের বর্তমানে সেই আগের অবস্থা নেই। যেটা নিয়ে রেনুবালার মতন বামপন্থী সমর্থকের পাশে গিয়ে তাঁরা দাঁড়াতে পারবেন”।
মাঝে মধ্যে তাঁর দুঃখ-দুর্দশা দেখে এগিয়ে আসেন কিছু মানুষ। তবে এগিয়ে আসেননি কোনও বামপন্থী নেতাই। পাঁশকুড়ার রেনুবালার এই জীবন কাহিনী হয়তো এরপর বামপন্থী নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রবল আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে। তবে বামপন্থীদের সেবায় যে মহিলা নিজের যৌবন কাল উজাড় করে দিয়েছিলেন, বার্ধক্যে পৌঁছে বর্তমান সরকারের দেওয়া বার্ধক্য ভাতাই তাঁর জীবনধারণের একমাত্র উপায়। এই ঘটনা সারা রাজ্যের বাম সমর্থকদের কাছে যথেষ্টই নিন্দনীয় বলে মনে করছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের একাংশ। বার্ধক্য বয়সে রেনুবালার মতন বামপন্থীদের কাছে জীবনযাপনের রাস্তা কি শুধুই সরকারের দেওয়া বার্ধক্য ভাতা? এমন প্রশ্নই বারবার করে চলেছে রাজের সুশীল সমাজ।
