East Medinipur News : আয়ের উৎস বার্ধক্য ভাতা! চরম অসহায়তায় দিন গুজরান বামপন্থী রেণুবালার – east medinipur panskura renubala devi spent her life with struggle


West Bengal News : একটা সময় ছিল যখন বামপন্থার (Left Front) জন্য উৎসর্গ করেছিলেন নিজের জীবন ও যৌবন। সম্পূর্ণরূপে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন পার্টির কাজে। যৌবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন বামপন্থীদের সেবায়, সশরীরে সঙ্গ দিয়েছেন একাধিক বামপন্থী (Left Front) আন্দোলনে। ক্ষমতায় থাকা তৎকালীন পাঁশকুড়া পুরসভার CPIM-র পার্টি অফিসে রান্না করতেন তিনি। সুযোগ পেয়েছিলেন গীতা মুখার্জিদের মত CPIM-র বড় নেতৃত্বদের সেবা করার। একজন বামপন্থী সাহসী মহিলার পরিচয়ে পরিচিত ছিলেন পাঁশকুড়ার (Panskura) রেনুবালা সাঁতরা। আর আজ ৮৭ বছরের বৃদ্ধা তিনি। পাশে নেই কেউ। স্বামী এবং একমাত্র ছেলেকে হারিয়েছেন বহু বছর আগে। এখন বেঁচে থাকার একমাত্র ভরসা বার্ধক্য ভাতার ১০০০ টাকা। যদিও বৃদ্ধ বয়সে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে পাশে পাচ্ছেন না বামপন্থী কোনও নেতাকেই।

Didir Doot : পানীয় জল থেকে বার্ধক্য ভাতা নিয়ে অভিযোগ, দিদির দূত কর্মসূচিতে বিক্ষোভের মুখে রায়নায় বিধায়ক
এখন তিনি একাই থাকেন। বামপন্থী আন্দোলনের একাধিক স্মৃতি আঁকড়ে তার সংসার, নিজের বলতে কেউ নেই। কিন্তু আন্দোলনকারী এই সাহসী মহিলার বর্তমান অবস্থা কিছুটা হলেও বামপন্থী আদর্শকে মাথা নিচু করার মতো জায়গায় নিয়ে যায়। কারন বর্তমানে কোনও বামপন্থী নেতার থেকেই পাননি পাশে থাকার আশ্বাস। কিন্তু মাত্র ১০০০ টাকাতে কিভাবে নিজের ওষুধ ও খাওয়া দাওয়ার খরচা চালাচ্ছেন রেনুবালা? পাঁশকুড়া পুরসভার যেই পার্টি অফিসে রেনুবালা কাজ করতেন, সেই পার্টি অফিসের দায়িত্বে থাকা বর্তমান এক বাম কর্মী জানান, “বর্তমানে পার্টির আর সেই স্বচ্ছল অবস্থা নেই। রেনুবালা দেবীর পাশে গিয়ে দাঁড়ান উচিত। কিন্তু সাধ্যের কাছে আদর্শ এখানে অনেকটাই মাথা নিচু করেছে। কারণ বামপন্থীদের বর্তমানে সেই আগের অবস্থা নেই। যেটা নিয়ে রেনুবালার মতন বামপন্থী সমর্থকের পাশে গিয়ে তাঁরা দাঁড়াতে পারবেন”।

Suvendu Adhikari : ‘নতুন রাজ্যপালকে ম্যানেজে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী’, তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর
মাঝে মধ্যে তাঁর দুঃখ-দুর্দশা দেখে এগিয়ে আসেন কিছু মানুষ। তবে এগিয়ে আসেননি কোনও বামপন্থী নেতাই। পাঁশকুড়ার রেনুবালার এই জীবন কাহিনী হয়তো এরপর বামপন্থী নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রবল আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে। তবে বামপন্থীদের সেবায় যে মহিলা নিজের যৌবন কাল উজাড় করে দিয়েছিলেন, বার্ধক্যে পৌঁছে বর্তমান সরকারের দেওয়া বার্ধক্য ভাতাই তাঁর জীবনধারণের একমাত্র উপায়। এই ঘটনা সারা রাজ্যের বাম সমর্থকদের কাছে যথেষ্টই নিন্দনীয় বলে মনে করছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের একাংশ। বার্ধক্য বয়সে রেনুবালার মতন বামপন্থীদের কাছে জীবনযাপনের রাস্তা কি শুধুই সরকারের দেওয়া বার্ধক্য ভাতা? এমন প্রশ্নই বারবার করে চলেছে রাজের সুশীল সমাজ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *