গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় এই পুজোর উদ্বোধন করেন আরাবুল ইসলাম (Arabul Islam)। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা সাবির সেখ। এছাড়াও শুভাশিস চক্রবর্তী উদ্বোধনে আসতে না পারলেও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তাদের। পুজো উদ্বোধনের পরে আরাবুল ইসলাম বলেন, “ভাঙড় মুসলিম প্রধান এলাকা হলেও এখানে ঘরে ঘরে দেবী সরস্বতীর আরাধনা করা হয়। অনেক বারোয়ারী ক্লাব ও সংগঠন ছোট বড় মাঝারি মাপের পুজো করলেও এতবড় মন্ডপ আর কোথাও নেই। এটা আমাদের জেলার সেরা সরস্বতী পুজো।”
এছাড়াও তিনি আরও বলেন, “দেবী সরস্বতীর কাছে আমাদের প্রার্থনা, উনি যেন ভাঙড় (Bhangar) এলাকার মানুষকে শান্তিতে রাখেন। শিক্ষা দেন। শিশুদের যেন জ্ঞান, বুদ্ধি দেন। মা সরস্বতীর অসীম ক্ষমতা। ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষা, জ্ঞান, বুদ্ধি লাভ করার জন্য দেবী সরস্বতীর আরাধনা করে।” এই পুজোর মূল উদ্যোক্তা পবিত্র মণ্ডল বলেন, “চারদিন ধরে এখানে সরস্বতী পুজো উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তাছাড়া এলাকার সাধারণ আর্ত পীড়িত মানুষের জন্য ভোগ বিতরণ, বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান হবে।” বিরল থিম ছাড়াও গোটা মণ্ডপ জুড়ে রয়েছে চোখ ধাঁধানো লেজার রশ্মির খেলা। তার ভিতর সুসজ্জিতা দেবী সরস্বতী। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নিদর্শন হিসাবে এই পুজোর আয়োজনে সামিল হন এলাকার হিন্দু-মুসলিম সহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষ। সবমিলিয়ে এবার ১৩ তম বর্ষে সবার নজর কেড়েছে কুলবেড়িয়ার মা কালী সংঘের এই সরস্বতী পুজো।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন ধরেই অশান্ত হয়ে রয়েছে গোটা ভাঙড়। তৃণমূল এবং ISF-র মধ্যে সংঘর্ষের পর পাঁচ দিন কেটে গেলেও এলাকার পরিস্থিতি থমথমে হয়েই রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনে উপস্থিত হয়ে এলাকায় শান্তির আহ্বান জানিয়েছেন আরাবুল ইসলাম। সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবেই ধরছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।