Howrah Incident : মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে বাবা খুন, শ্যামপুরকাণ্ডে ঘটনার পুনর্নির্মাণ পুলিশের – police making reconstruction with arrested criminals in shyampur murder case


West Bengal News : চারদিন আগে হাওড়া (Howrah) জেলার শ্যামপুরে (Shyampur) ঘটে যাওয়া নির্মম হত্যাকাণ্ডের (Shyampur Murder) তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর এদিন, বৃহস্পতিবার দুপুরে ৩ অভিযুক্তকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান তদন্তকারী অফিসাররা। সেদিন রাতে কি ঘটনা ঘটেছিল সেটা পুনঃনির্মাণ করে দেখা হয়। সেদিন কোথায় ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করা হয়েছিল, কোথায় ছাত্রীর বাবাকে টেনে নিয়ে গিয়ে মারা হয়েছিল সবটাই দেখিয়ে দেয় অভিযুক্তরা। প্রায় আধঘন্টা এলাকায় থাকার পর পুলিশ ৩ অভিযুক্তকে শ্যামপুর থানায় (Shyampur Police Station) নিয়ে আসে। এদিকে, ধৃত ৩ অভিযুক্তকেই গ্রামে নিয়ে এসেছে পুলিশ, এই খবর গ্রামে চাউর হতেই পুনঃনির্মাণ স্থলে ভিড় করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। তারা অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি করেন।

Howrah Incident : শ্যামপুরের ঘটনায় গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত, ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা এলাকা
পুলিশ এই সময় গ্রামবাসীদের অভিযুক্তদের শাস্তির ব্যাপারে আশ্বস্ত করলে গ্রামবাসীরা শান্ত হন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনৈক এক গ্রামবাসী বলেন, “এই তিনজন দাগী অপরাধী যতদিন না ফাঁসিকাঠে ঝুলছে ততদিন এই গ্রামের লোকেদের শান্তি হবে না। অনেকদিন ধরে এরা আমাদের অতিষ্ঠ করে রেখেছিল। অনেক মহিলার সঙ্গেই দুর্ব্যবহার করেছে এরা। অনেকবার অভিযোগ জানানো হয়েছে এদের বিরুদ্ধে, কিন্তু কিভাবে যে বারবার জেলের বাইরে থাকত এরা ভগবান জানেন”। ওই গ্রামবাসী আরও বলেন, “এবারও যদি এরা কোনোভাবে হাজত থেকে ছাড়া পায়, তাহলে পুলিশ প্রশাসনের ওপরে আর কোনোদিন কারোর আস্থা থাকবে না”।

Howrah Incident: একাধিক কুকীর্তি শান্তনুর, চোলাই টাইকুনের দাদাগিরি অজানা নয় পুলিশেরও
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত রবিবার রাতে প্রাইভেট টিউশন থেকে সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরছিল দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী। মাঝপথে তার পথ আটকে সাইকেল ও ছাত্রীকে ধরে টানাটানি শুরু করে এলাকার যুবক কিল্টন বাগ, টিটন বাগ এবং এই এলাকার চোলাই মদের কারবারি শান্তনু হাপড়। ছাত্রীর চিৎকারে ছুটে আসে তাঁর বাবা। মেয়ের সম্ভ্রম রক্ষা করতে ঘটনাস্থলেই দাঁড়িয়েই প্রতিবাদ করেন তিনি। যেটা ওই তিন দুষ্কৃতী ভালোভাবে মেনে নিতে পারেনি। তারপরেই ওই ছাত্রীর বাবাকে ওই তিনজন টেনে নিয়ে চলে যায় ফাঁকা মাঠে। চলে বেদম প্রহার। ছাত্রীর চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। তড়িঘড়ি আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হলে সোমবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার গুরুত্বের কথা বিচার করে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের তরফ থেকে অ্যাকশন নিয়ে পরপর ওই তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *