পুলিশ এই সময় গ্রামবাসীদের অভিযুক্তদের শাস্তির ব্যাপারে আশ্বস্ত করলে গ্রামবাসীরা শান্ত হন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনৈক এক গ্রামবাসী বলেন, “এই তিনজন দাগী অপরাধী যতদিন না ফাঁসিকাঠে ঝুলছে ততদিন এই গ্রামের লোকেদের শান্তি হবে না। অনেকদিন ধরে এরা আমাদের অতিষ্ঠ করে রেখেছিল। অনেক মহিলার সঙ্গেই দুর্ব্যবহার করেছে এরা। অনেকবার অভিযোগ জানানো হয়েছে এদের বিরুদ্ধে, কিন্তু কিভাবে যে বারবার জেলের বাইরে থাকত এরা ভগবান জানেন”। ওই গ্রামবাসী আরও বলেন, “এবারও যদি এরা কোনোভাবে হাজত থেকে ছাড়া পায়, তাহলে পুলিশ প্রশাসনের ওপরে আর কোনোদিন কারোর আস্থা থাকবে না”।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত রবিবার রাতে প্রাইভেট টিউশন থেকে সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরছিল দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী। মাঝপথে তার পথ আটকে সাইকেল ও ছাত্রীকে ধরে টানাটানি শুরু করে এলাকার যুবক কিল্টন বাগ, টিটন বাগ এবং এই এলাকার চোলাই মদের কারবারি শান্তনু হাপড়। ছাত্রীর চিৎকারে ছুটে আসে তাঁর বাবা। মেয়ের সম্ভ্রম রক্ষা করতে ঘটনাস্থলেই দাঁড়িয়েই প্রতিবাদ করেন তিনি। যেটা ওই তিন দুষ্কৃতী ভালোভাবে মেনে নিতে পারেনি। তারপরেই ওই ছাত্রীর বাবাকে ওই তিনজন টেনে নিয়ে চলে যায় ফাঁকা মাঠে। চলে বেদম প্রহার। ছাত্রীর চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। তড়িঘড়ি আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হলে সোমবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার গুরুত্বের কথা বিচার করে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের তরফ থেকে অ্যাকশন নিয়ে পরপর ওই তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে।