সূর্যাস্তের আগেই জাতীয় পতাকা নামানোর কথা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের কর্মীরা বেমালুম ভূলে যান বলে অভিযোগ। ফলে অন্ধকারে সারারাত গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে উড়তে থাকে দেশের জাতীয় পতাকা। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে স্থানীয় তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা ভবানন্দ বর্মন দোষ চাপিয়েছেন বিরোধী দল BJP-র ওপরে। তিনি জানিয়েছেন, “আমরা যথাযথ সন্মানের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলাম এবং নির্দিষ্ট সময়ে তা নামানোও হয়েছিল। BJP কর্মীরা চক্রান্ত করে রাতে আবার জাতীয় পতাকা এবং তাদের দলীয় পতাকা তুলে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) বিরুদ্ধে বদনাম করার চেষ্টা করছে”।
যদিও এই বিষয়ে স্থানীয় BJP নেতা তথা বরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা মানিক বর্মন জানিয়েছেন, “তৃণমূল কংগ্রেস দেশের সন্মান করে না, জাতীয় পতাকাকে সন্মান ও শ্রদ্ধা জানাতে জানে না। ওরা নিজেরাই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে সারারাত রেখে দিয়েছিল। বিজেপি দেশকে সন্মান করতে জানে। গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস তালাবন্ধ থাকায় গ্রামের বাসিন্দারাও জাতীয় পতাকাটিকে নামাতে পারেননি”। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে বরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়৷ যদিও এদিন শুক্রবার সকালে জাতীয় পতাকা নামিয়ে দেন গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। ১২ নম্বর বরুয়া গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান জগদীশ চন্দ্র রায় জানা, “সন্মানের সঙ্গেই পঞ্চায়েত অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা এবং নামানো হয়েছিল”। যদি স্থানীয় এক বাসিন্দা এই বিষয়ে বলেছেন, “সন্ধ্যে বেলাতেও পতাকা লাগানো ছিল। আমরা বিষয়টি লক্ষ্য করি। কিন্তু কিছু করার ছিল না, কারন গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে তালা লাগানো ছিল”।