Durgapur News : অন্ডালের ধান্ডারডিহির খনি অঞ্চলে ধ্বস, আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা – big landslide in andal bhandardihi mining area


West Bengal News : ফের ধ্বসের কবলে রাজ্যের খনি অঞ্চল (Coal Area)। এবার ধ্বস নামল পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার অন্ডাল (Andal) এলাকায়। অন্ডালের (Andal) ধান্ডারডিহি গ্রামের থেকে ১০০ মিটার দূরে ধ্বস নামায় আতঙ্কে জড়সড় হয়ে রয়েছেন স্থানীয় মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ এলাকায় বৈধ ও অবৈধ খনির খননের কারণে ধ্বস নামছে এই এলাকায়।

West Bengal News : পাথরপ্রতিমার রাস্তায় ধসের ফলে জলের আকাল! ধর্নায় এলাকার মহিলারা
এই বিষয়ে এই গ্রামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমাদের গ্রামের আসে পাশে অনেক জায়গাতে বহুদিন ধরে অবৈধ খনির কাজ কারবার চলছে। এই বিষয়ে ECL কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনকে আমরা অনেকবার জানিয়েছি। কিন্তু তাঁদের তরফ থেকে শুধুই আশ্বাস মিলেছে।” ওই গ্রামবাসী আরও বলেন, “ECL কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় আজ আমাদের গ্রামের এই দশা। ধ্বস নেমেছে গ্রাম থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে। তাই কোনদিন যে হঠাৎ করে আমাদের বাড়িগুলি হুড়মুড় করে ধ্বসে পড়বে, সেই ভেবেই আতঙ্কে আছি।”

Durgapur News : মোবাইল গেম নিয়ে বকুনি জুটতেই নিখোঁজ, কিশোরের পচা গলা দেহ উদ্ধার দুর্গাপুরে
যদিও স্থানীয় ECL কর্তৃপক্ষের দাবি, বিভিন্ন বৈধ ও অবৈধ বন্ধ কয়লাখনিগুলি বালি চাপা দিয়ে ভরাট করা হয়েছে। এই মুহূর্তেও সেই সব কাজ জোরকদমে চলছে। ECL কর্তৃপক্ষের মতে, ধান্ডারডিহি গ্রামের কাছে যে ধ্বস নেমেছে, তা তাঁরা জানেন। গোটা পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখা হচ্ছে। এলাকার মানুষজনের অভিযোগ, স্থানীয় বাড়িগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কয়লা খনিতে ধ্বসের জেরে। যদিও ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে হাজির হয়েছিলেন CISF কর্মী এবং আধিকারিকরা। এই যখন পরিস্থিতি, তখন পুনর্বাসন জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু তা-ও ঠিক ভাবে হচ্ছে কি? স্থানীয় মানুষ ও প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি, পুনর্বাসন প্রকল্পও থমকে রয়েছে।

Andal Airport: কালো ধোঁয়ায় ঢাকল আকাশ, অন্ডাল বিমানবন্দরে আগুন আতঙ্ক
খনি বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কয়লা কাটা এবং অবৈধ খননই এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। ভূগর্ভে কয়লা কেটে নেওয়ার পরে ফাঁপা অংশ বালি দিয়ে ভরাট করতে হয়। অথবা, খুঁটি দিয়ে উপরের অংশ ধরে রাখার ব্যবস্থা করতে হয়। তা ঠিক মতো না করলে ধ্বসের সম্ভাবনা থাকে। কয়লা উত্তোলক সংস্থা ECL-র কর্তাদের দাবি, খনি রাষ্ট্রায়ত্তকরণের আগে বেসরকারি নানা সংস্থা অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কয়লা কেটেছিল। এলাকা বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে। বিপদ আরও বেড়েছে সুড়ঙ্গ তৈরি করে অবৈধ কয়লা খননে। এলাকাবাসীর একাংশের আবার অভিযোগ, রাষ্ট্রায়ত্তকরণের পরে ECL পুরনো খনিগর্ভগুলি বালি দিয়ে ভরাট করেনি। তার খেসারত দিতে হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *