Recruitment Scam In West Bengal : ‘গোপাল কে! আমি সাত বছর আগেই আরমান’, জেরায় আজব দাবি যুক্তি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্তের – teacher recruitment scam in west bengal gopal dalapati refused his name he claimed him as arman ganguly


এই সময়: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কে সত্যি বলছে, কে মিথ্যা- তা নিয়ে নিশ্চিত হতে কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল, গোপাল দলপতিকে গত সপ্তাহেই প্রায় ১৩ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। ফের গোপাল দলপতিকে ব্যাঙ্কের নথিপত্র, তাঁর বিরুদ্ধে থাকা পুরোনো মামলার যাবতীয় তথ্য নিয়ে খুব শিগগিরই হাজির হতে বলেছেন তদন্তকারীরা। তার আগেই অবশ্য নতুন তথ্য প্রকাশ্যে এলো। সোমবার সংবাদমাধ্যমে গোপালের দাবি, সাত বছর আগেই তিনি গোপাল থেকে হয়ে গিয়েছেন ‘আরমান গাঙ্গুলি’!

West Bengal Recruitment Scam : গোপালের ফোন ইডিকেই
কিন্তু কেন তিনি এমন করতে গেলেন?
সোমবার গোপালের দাবি, সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দপ্তরে হাজিরা দিয়েই নাম বদলের বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। সাংবাদমাধ্যমে গোপালের যুক্তি, ‘২০১৫ সালে আদালতে আবেদনের মাধ্যমে গোপাল থেকে আরমান গাঙ্গুলি হই। একটি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর সেবি আমার সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ক্লোজ় করে দিয়েছিল। বেঁচে থাকার জন্য অন্য রাস্তা ছিল না। কারণ পরিচয়পত্র না থাকলে, টাকাপয়সার লেনদেন থেকে কোনও কিছুই করতে পারছিলাম না। নাম বদলের পর একটা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করি।’ ইডি-র তদন্তকারী অফিসাররাও খতিয়ে দেখছেন, খাতায়-কলমে নাম পরিবর্তনের নেপথ্যে কোনও গভীর পরিকল্পনা ছিল কি না। তাই নথিপত্র নিয়ে দ্রুত হাজিরও হতে বলা হয়েছে। গোপালের কথায়, ‘এখন আমার একটাই পরিচয়পত্র, আগেরগুলো সব ব্লকড। আধার কার্ড, পাসপোর্ট সব কিছুই রয়েছে।’ গোপালের সাফ কথা, ‘বেঁচে থাকতে নাম বদলেছি। অপরাধ তো হয়েছে। তার জন্য আদালত বা সংবিধান যা শাস্তি দেবে, মেনে নেব। বাঁচার জন্য করেছি।’

Kuntal Ghosh : ‘তাপস মণ্ডল বিজেপির সঙ্গে যুক্ত’, বিস্ফোরক দাবি কুন্তলের
ইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পরে কুন্তল সাংবাদিকদের সামনে দাবি করেছিলেন, তাপস মণ্ডল, গোপাল দলপতিরা তাঁর থেকে প্রচুর টাকা নিয়েছেন। তাঁরাই ফাঁসিয়েছেন কুন্তলকে। যদিও গোপালের দাবি, চাকরি পাওয়ার জন্য কুন্তলকে অনেকে টাকা দিয়েছিলেন- ‘যে লোকটার কাছে চাকরিপ্রার্থীরা সাফল্য পেয়েছেন, তাঁর কাছেই তো যাবেন?’ কিন্তু কার মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে চাকরির ‘সাফল্য’ পেতেন কুন্তল, সে বিষয়ে কোনও তথ্য নেই বলে দাবি করেছেন গোপাল। তাঁর কথায়, ‘সেই নামটা হয়তো ঢাকার চেষ্টা করছেন কুন্তল। তাই গোপাল-গোপাল করছেন।’ গোপাল দাবি করেছেন, চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা তোলার পর জনৈক ‘কাকু’র কাছে টাকা পৌঁছে দিতেন কুন্তল। তাঁর দাবি, ‘এক-দু’বার ওকে বলতে শুনেছি কাকুর কাছে যেতে হবে। পেমেন্ট দিতে হবে। কোন কাকু আমি জানতাম না। বলত, কালীঘাটে কাকুর কাছে যেতে হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *