প্রসঙ্গত, বুধবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সুতির অরঙ্গাবাদ এবং সামসেরগঞ্জের (Samserganj) ডাকবাংলায় অবস্থিত পতাকা বিড়ি কারখানায় হঠাৎ হানা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। শুরু হয় তল্লাশি। বুধবার সারাদিন পেরিয়ে রাত অতিবাহিত হয়ে গেলেও সম্পন্ন হয়নি তলাসসির কাজ। বৃহস্পতিবার সকালেও আয়কর দফতরের আধিকারিকরা রয়েছেন সুতির অরঙ্গাবাদ পতাকা বিড়ি ফ্যাক্টরির অফিসে। পাশাপাশি সামসেরগঞ্জেও একই চিত্র লক্ষ্য করা গিয়েছে। এত দীর্ঘ সময় ধরে পতাকা বিড়ি ফ্যাক্টরিতে আয়কর হানা ঘিরে ক্রমশই রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। কখন সম্পন্ন হবে আয়কর হানা তা এখনও স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, এর আগে তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বিড়ি ফ্যক্টরি ও বাড়ি থেকে হিসাব বহির্ভূত কয়েক কোটি টাকা ও নথি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায় আয়কর দফতর। তল্লাশির পর বিধায়ক জানিয়েছিলেন, বিড়ি শ্রমিক সহ চালকলের কাজ করা বিপুল সংখ্যক শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার জন্যই রাখা হয়েছিল ওই নগদ টাকা। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজ্য রাজনীতিতে। একাধিক চালকল ও শিব বিড়ি সহ একাধিক বিড়ি কারখানার মালিক তৃণমূল বিধায়ক বলে জানা যায়। পাশাপাশি তৃণমূল ঘনিষ্ঠ আরও দুটি বিড়ি কারখানায় হানা দিয়েছিল আইটি। জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান ও সুতির বিধায়ক ইমানি বিশ্বাসও বিড়ি শিল্পপতি। এরপর কি আইটি নজরে তাঁরা ? জঙ্গিপুর তথা মুর্শিদাবাদের বাতাসে সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।