নিশাদ খালেদ ছোট থেকেই আল আমিন মিশনে পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর মিশনের সহযোগিতায় তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পান। ২০২০ সালের WBCS লিখিত পরীক্ষায় তিনি সফল হয়েছিলেন। এরপর গ্রুপ বি-তে তাঁর নাম পাঁচ নম্বরে আসে। এরপর পুলিশ সার্ভিসে যোগ দেওয়া বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। নিশাদ খালেদ বলেন, “আমি ছোট থেকেই গ্রামের অবস্থা দেখে এসেছি। ছোট বেলা থেকেই সিভিল সার্ভিসের স্বপ্ন দেখেছি। ২০১৯ সালে আমি WBCS দিয়েছিলাম। ইন্টারভিউ রাউন্ডে গিয়েও শেষমেশ উত্তীর্ণ হতে পারিনি। পরের বছর অবশ্য উত্তীর্ণ হয়েছি। এখনকার প্রজন্ম ডাক্তারি সহ অন্যান্য পেশার দিকে ঝুঁকছে। কোনও জায়গার মেরুদণ্ড হল প্রশাসন। তাই প্রশাসনিক পদগুলিতে তরুণদের এগিয়ে আসা উচিৎ।”
তিনি আরও বলেন, “সরকারি সুযোগ সুবিধা যাতে সঠিকভাবে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যায় সেজন্য আমি চেষ্টা করব। কালিয়াচকের তরুণদের কাছে অনুরোধ দেশের মধ্যে যাতে আমাদের এলাকার নাম হয় সেজন্য ভালোভাবে চেষ্টা করতে।” অন্যদিকে, নিশাদের মা বলেন, “আমাদের অত্যন্ত অভাবের সংসার ছিল। কিন্তু, সব দুঃখ কষ্ট ভুলে গিয়েছি। ছেলের সাফল্যে আমরা অত্যন্ত খুশি। ও ছেলেবেলা থেকেই পড়াশোনায় অত্যন্ত ভালো ছিল। কিন্তু, এতদিন যে ছেলের জন্য এত সুখ রয়েছে তা জানা ছিল না। আমি গর্বিত।” অন্যদিকে, এই সাফল্যে স্বাভাবিকভাবেই খুশি হয়েছেন প্রতিবেশীরাো। নিশাদ এলাকার নতুন প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠবে বলেই তাঁদের মতামত।