C V Ananda Bose : রাজ্যপালই আচার্য, আইন মেনে নিয়োগ উপাচার্যদের – appointment of vice chancellors in bengal universities accordance with law said c v ananda bose


এই সময়: আড়াই মাস হলো পশ্চিমবঙ্গের রাজভবনে এসেছেন সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। তার আগে থেকেই রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য পদে নিয়োগ-পুনর্নিয়োগ ঘিরে রাজভবন-রাজ্য সরকার সংঘাত, আইনি লড়াই চলছিল। পাশাপাশি রাজ্যের গোটা দশেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়-প্রশাসন পড়েছে সঙ্কটে। রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এ সব নিয়ে এতদিন মুখ খোলেননি বোস। অবশেষে শনিবার লিখিত বিবৃতি দিয়ে আচার্য হিসেবে এ প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন তিনি। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে – আচার্য পদের ক্ষেত্রে বর্তমান পদ্ধতিই বজায় থাকবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। যার অর্থ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য পদে থাকবেন রাজ্যপালই।

West Bengal Governor : সুকান্ত সাক্ষাতের পরই কড়া বার্তা রাজ্যপালের
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (UGC) বিধি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা ও উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে বলে ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। BJP-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) সঙ্গে এ দিন ঘণ্টাদুয়েক আলাপ-আলোচনার সারেন বোস। তার পরই উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে বিবৃতি জারি হয়। যদিও এ ব্যাপারে তৃণমূল বা র‍াজ্য সরকারের কোনও প্রতিক্রিয়া রাত পর্যন্ত মেলেনি। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সন্ধেয় বলেন, “এ নিয়ে আপাতত আমার কোনও বক্তব্য নেই।”

আনন্দ বোসের পূর্বসূরি জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) সময়ে রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য করার জন্য আইনে সংশোধনী আনা হয়েছিল। ধনখড় সেই সংশোধনীতে সম্মতি দেননি। এ বার বোসের তরফে জারি করা বিবৃতিতেও রাজ্যপালকেই আচার্য পদে রাখার কথা জানানো হলো।

Mamata Banerjee DLitt : ‘যোগ্য নেত্রীই বটে!’ শুভেন্দু-সুজনের নিশানায় মুখ্যমন্ত্রীর ডি’লিট সম্মান
যদিও এই সিদ্ধান্ত সরকারের সম্মতিক্রমে হয়েছে কি না, তার স্পষ্ট উল্লেখ রাজভবনের বিবৃতিতে নেই। যে সব রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য UGC-র বিধি মেনে নিযুক্ত হননি, তাঁরা আর উপাচার্য পদে থাকতে পারবেন না বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। রাজভবন জানিয়েছে, এ ক্ষেত্রে আইন মেনে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্যপাল। রাজভবনের বিবৃতির প্রেক্ষিতে উচ্চশিক্ষা মহলের অনেকে মনে করছেন, রাজ্যের কোনও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্যের কার্যকালের বৈধতা আর থাকবে না।

গুজরাটের সর্দার প্যাটেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে একটি মামলার শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি এমআর শাহ ও বিচারপতি বিভি নাগারন্ত। শিক্ষা মহলের বক্তব্য, গত বছর ৩ মার্চ দুই বিচারপতি জানান, UGC-র ২০১০ সালের বিধি অনুযায়ী উপাচার্য হতে গেলে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে অন্তত ১০ বছর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। পাশাপাশি স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটিতে আচার্য, UGC এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বা কর্মসমিতির প্রতিনিধি থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু রাজ্য সরকার ২০১২ সালে বিধানসভায় বিলের সংশোধনী আনে। সেখানে জানানো হয়, উপাচার্য নিয়োগে UGC-র নিয়ম বদলে ৫ বছর অধ্যাপক হিসেবে কর্মরতদেরই উপাচার্য করা যাবে। আবার, ২০১৪ সালে উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটিতে UGC-র প্রতিনিধির পরিবর্তে রাজ্যের প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সেই সংশোধিত বিধি মেনেই উপাচার্য নিয়োগ করেন ধনখড়ের আগের দুই রাজ্যপাল-আচার্য।

Mamata Banerjee D Litt: উচ্চশিক্ষায় উল্লেখযোগ্য অবদান, ফের ডি’লিট মমতাকে
ধনখড়ের আমলে প্রথম দিকে দু’একজন উপাচার্যকে নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যের সংশোধিত বিধি মেনে সিলমোহর দেওয়া হয়। কিন্তু পরে এই নিয়োগ ঘিরে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে পৌঁছয়। একের পর উপাচার্য নিয়োগে আচার্য হিসেবে ধনখড় সই না করায়, উচ্চশিক্ষা দপ্তর সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রিমুভ্যাল অফ ডিফিক্যালটিজ’ আইন প্রয়োগ করে পর পর উপাচার্য নিয়োগ করে। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা চলছে। ধনখড় এবং সিভি আনন্দ বোসের মাঝে অস্থায়ী রাজ্যপাল লা গণেশন উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের বিধিতে কোনও আপত্তি জানাননি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *