দেবারতি ঘোষ: মানসিকভাবে সুস্থ নন? মা যে মারা গিয়েছেন, তা বুঝতে পারেননি? বাড়িতে দু’দিন ধরে দেহ আগলে বসে থাকলেন মেয়ে! দুর্গন্ধ পেয়ে শেষপর্যন্ত থানায় খবর দিলেন প্রতিবেশীরা। দেহ উদ্ধার করল পুলিস। এবার ঘটনাস্থল কলকাতার বেলেঘাটা।
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম নমিতা ঘোষাল। বেলেঘাটার বদন রায় লেনে একটি বাড়িতে থাকতেন তিনি। সঙ্গে মেয়ে ষাটোর্ধ্ব ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। তিনি বিধবা। প্রতিবেশীদের দাবি, পাড়ার লোকেদের অল্পবিস্তর কথা বলতেন ইন্দ্রাণী। কিন্তু তাঁর আচরণ খুব একটা স্বাভাবিক ছিল না! এমনকী, আত্মীয়দের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ ছিল না মা-মেয়ের। ওই বাড়িতে কখনও কাউকে আসতেও দেখেননি তাঁরা।
আরও পড়ুন: Mamata vs Suvendu: রেগে ওয়াক আউট শুভেন্দুর, ক্ষমা চাইলেন মমতা
এদিকে নমিতার বয়সও নব্বইয়ের কোঠায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দিন দশেক আগে রাস্তা নিয়ে যাওয়ার সময়ে পড়ে যান তিনি। আঘাত লাগে কোমরে। থেকে আর বাড়ির বাইরে দেখা যায়নি তাঁকে। গত দু’দিন ধরে বাড়ি থেকে রীতিমতো দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল!
কেন? খবর দেওয়া হয় থানায়। বাড়িতে ঢুকে পুলিস দেখে, মায়ের দেহ আগলে বসে রয়েছে মেয়ে! প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, দিন দুয়েক আগে মৃত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধার। কীভাবে? ময়নাতদন্তের রিপোর্টে অপেক্ষায় পুলিস। মেয়েকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, মৃত্যুর পরেও কেন কাউকে কিছু জানাননি? কোনও সদুত্তর মেলেনি। তিনি মানসিকভাবে সুস্থ কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দিন কয়েক আগে একই ঘটনা ঘটেছিল হাওড়ায়। জগাছার বাড়িতে স্ত্রীর দেহ আগলে বসেছিলেন স্বামী! এরপর বাড়িতে আসেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। দরজার ঠোকা মারতে গিয়ে দুর্গন্ধ পান তাঁরা। খবর পেয়ে দেহ উদ্ধার করে পুলিস।