কখন লাগে আগুন?
জানা গিয়েছে, আগুন নজরে আসে মঙ্গলবার রাত ১০ টা ২০ মিনিট নাগাদ। দমকল তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়ায় বড় বিপদ ঘটেনি বলে দাবি স্ট্যান্ডের কর্মীদের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, NBSTC-র দুরপাল্লার বাসটি এদিন রাত সাড়ে আটটা নাগাদ মাথাভাঙা থেকে প্যাসেঞ্জার নিয়ে কোচবিহারে আসে। রুট কমপ্লিট করে ডিপোয় বাসটি পার্ক করে দেন বাসটির চালক। যাত্রীরা নেমে যেতে কনডাক্টটর চালকও ডিপো থেকে বেরিয়ে যান। পরে রাত সাড়ে দশটার দিকে ডিনার শেষে বাসস্ট্যান্ডে অন্য একটি বাসের কনডাক্টর বাস বের করতে এসে দেখেন। ওই বাসটির নীচ থেকে রীতিমতো আগুনের স্ফুলিঙ্গ পড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি লোকজনকে ডাকেন। খবর যায় দমকলে। খবর দেওয়া হয় বাসের চালক ও কনডাক্টটরকেও।
কীভাবে বাসে লাগল আগুন?
গোটা ডিপো ভরে যায় কালো ধোঁয়ায়। আগুন লাগা বাসের আশপাশে আরও বাস থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। দ্রুত ব্যবস্থা নেয় ডিপোতে থাকা চালক কর্মীরাও। খবর পেয়েই দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে দ্রুত আগুন নেভানোয় হাত লাগায়। তাই বড় বিপত্তির আগেই নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। কিন্তু, ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে চালক-কর্মীদের মধ্যে। ব্যস্ত ওই বাস স্ট্যান্ডে বাসে যাত্রী থাকা অবস্থায় এই ঘটনাটি ঘটলে কী হত। অন্যদিকে, আগুনে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে বাসটি। অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে লেগেছে আগুন। কেন এমন ঘটনা তা খতিয়ে দেখছে দমকল বাহিনী।
