বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগণা বারাসত-আমডাঙা এলাকায় এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “রাজ্যপাল এবার ধনখড়ের পথেই হাঁটছেন। ধনখড়ে পথে হাঁটলে উনি বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে থেকে যাবেন। আমি বলেছিলাম আগেই, কেন্দ্রের কথা না শুনলে উনি রাজ্যপাল হিসেবে পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ করতে পারবেন না।”
তৃণমূলের এই অভিনেতা-বিধায়ক আরও বলেন, “শুধুমাত্র সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখা করার পর এই বদল হয়নি, মাঝে একবরা উনি দিল্লিতেও গিয়েছিলেন। একজন সুস্থ, সুন্দর মানুষ যেভাবে বাস্তবসম্মত পথে যাচ্ছিলেন, নিয়মমাফিক কাজ করতে চাইছিলেন, তাঁকে বাধা দেওয়া হল বলেই আমার মনে হচ্ছে।”
বৃহস্পতিবার রাতে বারাসতের জগদিঘাটা কাজীপাড়ায় এক ফুটবল টুর্নামেন্টে অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক। তিনি আইএএস অফিসার নন্দিনী চক্রবর্তী ইস্যুতেও মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, “উনি তো ওদের কথা মেনে নিচ্ছেন। নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরিয়ে দিল রাজভবন থেকে। অর্থ্যাৎ আমার কথায় হুবহু মিলে গেল”
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই নিজের বিধানসভা কেন্দ্র বারাসতে এক সরকারি কর্মসূচিতে এসে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন শাসকদলের এই তারকা বিধায়ক। চিরঞ্জিত বলেন,”এই রাজ্যপাল একজন পারফেক্ট এবং নিরপেক্ষ মানুষ। তিনি যেভাবে সরকারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছেন তাতে তাঁক রাজ্যপালের মেয়াদ কমিয়ে আনা হতে পারে। বেশিদিন রাজ্যপাল হিসেবে এখানে টিকতে দেবে না কেন্দ্র।”
