নবান্নকে পালটা চ্যালেঞ্জ
কেন্দ্রীয় হারে বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ৩৬টি সংগঠনের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে চলছে কর্মবিরতি। যা নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়ে রাজ্য। নবান্নের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, খুব জরুরি চারটি কারণ ছাড়া কেউ সোম এবং মঙ্গলবার কাজে যোগ না দিলে তাঁর চাকরি জীবনে ছেদ পড়বে।
এই নির্দেশিকাকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে সপ্তাহের প্রথমদিনই নবান্ন (Nabanna), মহাকরণ, নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিং সহ প্রতিটি সরকারি দফতরেই হাজিরা কার্যত অর্ধেক। পেন ডাউন করে দফতরগুলির বাইরে চলছে বিক্ষোভ। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, “আমরা আজ অনুপস্থিত নই। আমাদের দফতরে আমরা কাজ বন্ধ করে বাইরে ডিএ-র দাবিদাওয়ার জন্য আন্দোলন করছি। এটা কোনও সার্ভিস রুলব্রেক নয়। সরকারের জারি করা নির্দেশিকা মেআইনি। এই নোটিস মানি না।”
এদিকে, সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনারদের ৩৬টি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ জানিয়েছে, প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ের পথেও হাঁটবে তারা। অর্থসচিবের নির্দেশিকাকে ‘কালা নির্দেশিকা’ বলে দাবি করে তা অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে মঞ্চ পাল্টা আইনি চিঠি দিয়েছে। যৌথ মঞ্চের ডাকা এই কর্মবিরতির প্রতিবাদে তৃণমূল রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন প্রতিটি অফিসে টিফিনের সময়ে মিছিল ও সভা করবে বলে জানিয়েছেন শাসক দলের পক্ষে কর্মচারী সংগঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মানস ভুঁইয়া।
অন্যদিকে, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মচারি এবং পেনশনারদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আইনজীবী প্রবীর চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের অর্থসচিবকে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর এই নির্দেশিকা বেআইনি এবং অসদউদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই আন্দোলন করার জন্য তাঁদের কর্মজীবনে ছেদ পড়ার কোনও প্রশ্ন ওঠে না। সেই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা।
এ প্রসঙ্গে, BJP-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “সরকার জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে। সরকারি কর্মীদের বঞ্চিত করছে, আবার হুমকিও দিচ্ছে। এ সব ক’দিন চলবে? রাজ্য জুড়েই সরকার বিরোধী বিক্ষোভ আন্দোলন চলছে। ধর্মতলা তো ধর্নাতলা হয়ে গিয়েছে।”