কী ভাবে মৃত্যু হল যুবকের?
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বাগুইআটির তেঘরিয়া এলাকায়। রবিবাবার একটি জরুরি কাজে ওই অঞ্চলে গিয়েছিলেন শুভজিৎ নন্দী। এরপর কাজ শেষ করে দমদম পার্কে নিজের বাড়ি ফেরার সময় একটি বেসরকারি বাসে ওঠেন তিনি। পিছনে জানলার পাশের আসনে বসেছিলেন তিনি। বাস চলতে শুরু করলে আচমকাই সহযাত্রীরা দেখতে পান ওই ব্যক্তি দরদর করে ঘামতে শুরু করেছেন। বুকে হাত দিয়ে ব্যথা বোঝানোরচেষ্টাও করছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
শরীরে অস্বস্তিবোধ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আচমকা সিট থেকে পড়ে যান শুভজিৎ। দ্রুত নিঃশ্বাস নিতে শুরু করেন। সঙ্গে সঙ্গে বাস থামিয়ে ওই যুবককে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বাসের কন্ডাক্টর জানান, ওই যুবক যখন বাসে ওঠেন তখন কোনও অস্বাভাবিকতা লক্ষ করা যায়নি। কিন্তু, খানিক পরেই তাঁর পাশে বসা যাত্রীরা জানান, তিনি অস্বাভাবিকভাবে ঘামতে শুরু করেছেন। তারপর সিট থেকে নীচে পড়ে যান। বুঝতে পারি তাঁর শরীরে কিছু একটা অস্বস্তি হচ্ছিল। ফলে কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে উঠিয়ে আমরা বাগুইআটির কাছেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাই। তবে ব্যাপারটা অতটাও গুরুত্ব দেননি কেউ। সকলে ভেবেছিলেন গরম লাগছে বলে হয়ত ঘামছেন যুবক। কিন্তু, এমন চরম পরিণতি হবে কেউই ভাবতে পারেননি। বাস থামিয়ে কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশকে কন্ডাক্টর গোটা বিষয়টি জানান। এরপর হাসপাতালে চিকিৎসকরা শুভজিতকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে যুবকের। দরদর করে ঘাম, শ্বাসকষ্ট সেদিই ইঙ্গিত করেছিল। আরও কিছুটা সময় পূর্বে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে যুবককে বাঁচানো সম্ভব হত বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বাগুইআটি থানার পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। শুভজিতের অন্য কোনও রোগ ছিল কি না, তিনি নিয়মিত কোনও হার্টের অসুখের ওষুধ খেতেন কি না, শেষ কয়েকঘণ্টায় কী কী খেয়েছিলেন, সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।