এই বিষয়ে ফেডারেশনের জেলা সভাপতি অমর সেনগুপ্ত বলেন, “DA আগেও বাকি ছিল, এখনও বাকি আছে। তবে বর্তমান সরকার এই ব্যাপারে যথেষ্ট সহানুভূতিশীল। টানাটানির মধ্যেও তিন শতাংশ DA দিয়েছে। কতিপয় কর্মী সরকারি দফতরে পেন ডাউনের নামে বিশৃঙ্খলা তৈরী করতে চাইছে। তারই প্রতিবাদ জানাচ্ছে কর্মচারী ফেডারেশন”।
জেলার সরকারি দফতরগুলিতে কর্মবিরতির প্রভাব পড়েনি বলে দাবি ফেডারেশন নেতৃত্বের। অমর সেনগুপ্ত আরও বলেন, “শুধু হুগলি (Hooghly) জেলা না, আমাদের কাছে খবর আছে রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলিতেও এই পেন ডাউনের প্রভাব পড়েনি। এত এত সরকারী কর্মচারীর মধ্যে মাত্র কয়েকজন যদি কাজ না করেন, তাহলে তাকে স্বতঃস্ফূর্ত কর্মবিরতি বলা যায় না।
ফেডারেশন এই কর্মবিরতির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে”। যদিও হুগলি তথা বিভিন্ন জেলার সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সোমবার সকাল থেকেই কর্মবিরতির মিশ্র প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। আসন্ন মাধ্যমিকের জেরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদে কর্মবিরতির প্রভাব পড়েনি বলে দাবি করা হয়েছে।
তবে অন্যান্য ক্ষেত্রে চিত্রটা আলাদা। আজ সোমবার সরকারের কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও বহু ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীরা কর্মবিরতিতে অংশ নিয়েছেন। DA আন্দোলকারীদের বক্তব্য, “সরকার এমন নোটিস আগেও দিয়েছে। কারও চাকরি যায়নি। ধর্মঘট সমর্থন করে কেউ অফিসে না গেলে সরকার বেতন কাটতে পারে।
তার বাইরে কিছু করার ক্ষমতা সরকারের নেই”। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় হারে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের DA দেওয়ার দাবি দীর্ঘদিনের। এই নিয়ে মামলা মোকদ্দমাও চলছে। আগামী ১৫ই মার্চ DA মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
তার আগে বকেয়া DA-র দাবিতে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। কলকাতার শহিদ মিনারে তাঁদের ধরণা, অবস্থান চলছে। গত ১১ দিন ধরে চলছে অনশনও।
কয়েক জন অসুস্থও হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যেই রাজ্য বাজেট পেশের সময় সরকারি কর্মীদের ৩ শতাংশ DA ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। পুরো বকেয়া মেটানোর দাবিতে অনড় আন্দোলনরত সরকারি কর্মীরা।