ডিএ আন্দোলনের প্রভাব পড়বে না জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায়, আশ্বাস যৌথ মঞ্চের । students will face no difficulty during 10th and 12th board exam owing to the ongoing problem of DA issue


অয়ন ঘোষাল: মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক দুই পরীক্ষাতেই সক্রিয় ভাবে সামিল হবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। ডিএ আন্দোলনের প্রভাব পড়বে না পড়ুয়াদের জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায়। শহীদ মিনার মঞ্চে অবস্থান চলবে। চালিয়ে যাওয়া হবে অনশন। কিন্তু যে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক বা শিক্ষা কর্মী ডিএ-র দাবিতে রাজ্য সরকার বা প্রশাসনকে অচল বা স্তব্ধ করে দিতে নয় মার্চ ধর্মঘট ডেকেছেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক দুই পরীক্ষাতেই তাদের ভুমিকা থাকবে ইতিবাচক।

পরীক্ষা প্রক্রিয়া থেকে হাত গুটিয়ে ধর্না মঞ্চে বসে থাকবেন না সরকারি কর্মীরা। এতে একদিকে যেমন জনমানসে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা, তেমনই জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় স্কুলে স্কুলে কর্মী সঙ্কট তৈরি হলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে গোটা পরীক্ষা ব্যবস্থায়। যা কাঙ্ক্ষিত নয় বলেই মনে করছেন আন্দোলনকারিরা।

তাই মঙ্গলবার যৌথ মঞ্চ এবং বারোই জুলাই কমিটির যুগ্ম সাংবাদিক সম্মেলনে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এক্ষুনি ধর্মঘট করলেই ভালো হতো। কিন্তু তার প্রভাব পড়ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়।

পরীক্ষার দিনগুলিতে শহীদ মিনার ধর্না মঞ্চে আন্দোলনকারিদের সংখ্যা লক্ষ্যণীয় ভাবে কমে যাবে। এই অবস্থা মানছে যৌথ মঞ্চ। তবে ছাত্র ছাত্রী অথবা পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সেটুকু জমি ছাড়তে তাদের আপত্তি নেই বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: DA: আরও তীব্র আন্দোলন! বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এবার রাজ্যজুড়ে ধর্মঘট….

হাসপাতাল ও জরুরি পরিষেবায় ছাড়। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে এবার রাজ্যজুড়ে নয় মার্চ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সরকারি কর্মচারীদের যৌথমঞ্চ।

বাজেটের পর ফের ডিএ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ৩৮ শতাংশের বদলে এবার ৪২ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে? এ রাজ্যে বকেয়া ডিএ দাবিতে আন্দোলন তীব্র হচ্ছে আরও।

আরও পড়ুন: MAKAUT: বাড়ছে উষ্ণায়ন, সরকারি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার সৌরশক্তির পাঠ…..

প্রথম ধর্না, তারপর এখন অনশন চলছে ধর্মতলায়। ১ ফেব্রুয়ারি রাজ্যজুড়ে  স্কুল, হাসপাতাল ও আদালত-সহ সমস্ত সরকারি দফতরে দু’ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছিলেন সরকারি কর্মচারীরা। এরপর ১৩ ফ্রেরুয়ারি দিনভর চলে পেন-ডাউন কর্মসূচি। এমনকী, সোম ও মঙ্গলবারও অফিসে হাজিরা দিলেও কাজ করেননি আন্দোলনকারী।

মেদিনীপুরে সভায় মুখ্য়মন্ত্রী বলেন, ‘আমি তো ম্যাজিশিয়ান নই। অনেকে বলেন, এটা পেলাম, ওটা দাও। যেটা পেলে সেটা ধরে রাখতে গেলে, যে টাকার প্রয়োজন, সেটা কোথা থেকে জোগাড় হবে? কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না, বঞ্চনা করছে। মিথ্যা বলছে। জিএসটির জন্য কেন্দ্র টাকা পাচ্ছে। কিন্তু জিএসটি বাবদ রাজ্যের টাকা দিচ্ছে না’।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)  

 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *