Swasthya Sathi : উন্নত হাসপাতালে খরচের ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি স্বাস্থ্যসাথীতে – swasthya sathi scheme limit increases on some hospitals


এই সময়: রোগ এমনই যে, নির্দিষ্ট প্যাকেজের আওতায় পড়ে না, অথচ চিকিৎসার ওষুধপত্র, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ব্যয়বহুল। রাজ্যের সব চেয়ে বড় ও উন্নত হাসপাতালগুলিতে এমন রোগের চিকিৎসা স্বাস্থ্যসাথীর অধীনে করাতে গিয়ে ঘোর বিপাকে পড়তে হয় রোগী ও পরিজনদের। কারণ, প্যাকেজ-বহির্ভূত চিকিৎসায় ওষুধপত্র ও ডায়গনস্টিক টেস্টের জন্য বরাদ্দ মাত্র ৫ হাজার টাকা।

Swasthya Sathi Card : স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও রোগী প্রত্যাখ্যান, ৫৩ হাসপাতালকে ১০ কোটির বেশি জরিমানা
এ বার ওই বড় হাসপাতালগুলিতে সেই ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্যসাথী সমিতি। পাশাপাশি, হৃদযন্ত্র ও হাড়ের চিকিৎসায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ইমপ্ল্যান্টের জন্যও স্বাস্থ্যসাথী থেকে মিলবে রি-ইমবার্সমেন্ট। স্বাস্থ্যসাথীতে অনর্থক সরকারি খরচ কমাতে বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে অডিটও করা হবে।

Central Government Health Scheme : কেন্দ্রীয় সরকারি হেলথ স্কিমে পরিষেবা পেতে বিস্তর সমস্যা
বড় বেসরকারি হাসপাতালগুলির সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ হসপিটালস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সভাপতি রূপক বড়ুয়া সরকারের এই ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।

Nabanna : সমবায় ব্যাঙ্ক ও সমিতিকে দায়িত্ব রাজ্য সরকারের বহু প্রকল্প রূপায়ণের
* ঊর্ধ্বসীমা বাড়ায় সুবিধে
স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, বহু ক্ষেত্রেই বড় বড় হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথীর রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। খোঁজ করে জানা গিয়েছে, প্যাকেজ-বহির্ভূত চিকিৎসার ক্ষেত্রে মহার্ঘ ওষুধ এবং ডায়গনস্টিক টেস্ট করা সত্যিই বড় হাসপাতালগুলোর পক্ষে মাত্র ৫ হাজার টাকায় সম্ভব নয়। বড় হাসপাতাল বলতে রাজ্যের ৩০টি এনএবিএইচএল (ন্যাশনাল অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড অফ হসপিটাল্‌স অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ়) মান্যতাযুক্ত হাসপাতাল।

DA West Bengal Latest Update : ‘বামেরা পেছন থেকে এই খেলা খেলছে, সাহায্য করছে BJP’, DA আন্দোলনকে তোপ মানসের
তাই, ওই সব এনএবিএইচএল শংসাপত্র থাকা হাসপাতালে এই ধরনের খরচের ঊর্ধ্বসীমা ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করা হলো। স্বাস্থ্যসাথী সমিতির এক কর্তা বলেন, ‘এনএবিএইচএল হাসপাতাল মানে ধরে নেওয়া হয়, তারা নিশ্চয়ই সব দিকে গুণমান অক্ষুণ্ণ রেখে উচ্চ মানের পরিষেবা দিচ্ছে।’

R G Kar Medical College: চলছে অপারেশন, দুই চিকিৎসকের হাতাহাতি!
* ইমপ্ল্যান্টের রি-ইমবার্সমেন্ট
এর সুবিধে পাবেন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীরা। এত দিন হার্টের চিকিৎসার জন্য পেসমেকার বা স্টেন্ট কেনা কিংবা হাড়ের অস্ত্রোপচারের জন্য প্লেট, নেল, স্ক্রু, পিন এই সব কেনার ক্ষেত্রে সমস্যার শিকার হতেন রোগীরা। কারণ, এই সব কার্ডিয়োলজিক্যাল ও অর্থোপেডিক ইমপ্ল্যান্ট সব সময়ে সরকারি হাসপাতালে মজুত থাকে না।

State Health Department : বন্ডের ডাক্তারদের জন্য বিধি
ফলে, অযথা দেরি হতো চিকিৎসায়। নতুন নিয়মে স্বাস্থ্যসাথীর অধীনে এই সব ইমপ্ল্যান্ট বাজার থেকে কিনে (লোকাল পারচেজ়) তা ব্যবহার করতে পারবেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Lakshmir Bhandar: ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এ লক্ষ্মীলাভ! ৬০ পেরোলেই মাসে হাজার টাকা মমতা সরকারের
* পোস্ট ডিসচার্জ অডিট
অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ ওঠে, যথাযথ পরিষেবা না-দিয়েও স্বাস্থ্যসাথী প্যাকেজের জন্য বরাদ্দ টাকার পুরোটাই ক্লেম করছে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম। বিষয়টি নজর এড়ায়নি স্বাস্থ্যকর্তাদের। তাই, কলকাতা-সহ সব বিভিন্ন জেলায় সব মিলিয়ে ২০০ জন চিকিৎসককে নিয়ে একটি করে জেলাস্তরের এবং একটি রাজ্যস্তরের কমিটি তৈরি করা হচ্ছে।

Taruner Swapna : ট্যাবের টাকা হাতানোই উদ্দেশ্য, মোবাইলের দোকানের নামে ভুয়ো বিলের বহর বাড়ছে সোদপুর-আগরপাড়া-খড়দায়!
রোগীর ছুটির পরে যে সব ক্লেম জমা পড়বে, ওই কমিটির সদস্যরা সরেজমিনে হাসপাতাল-নার্সিংহোম পরিদর্শনের পর তার মধ্যে ৩০ শতাংশ বিল অডিট করবেন। খামতি নজর এলে কেটে নেওয়া হবে টাকা।

* অর্থোপেডিক অপারেশনে বিধিনিষেধ
বহরমপুর ও মালদা সদর- এই দুই মহকুমার কোনও বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথীর অধীনে অর্থোপেডিকের কোনও পরিকল্পিত অস্ত্রোপচার করতে পারবে না। ব্যতিক্রম দু’টি।

Mamata Banerjee : ‘কোকিল যেমন কাকের বাসায় ডিম পাড়ে…’, BJP-কে তীব্র আক্রমণ মমতার
হয় সেই অপারেশন ইমার্জেন্সি হতে হবে, না-হয় সংশ্লিষ্ট জেলা, মহকুমা কিংবা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লিখে দেবেন যে, তাঁদের কাছে ওই অপারেশনের পরিকাঠামো নেই। বহু সরকারি চিকিৎসক সরকারি হাসপাতালের রোগীকে বেসরকারি ক্ষেত্রে নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথীতে অপারেশন করছেন বলেই নির্দিষ্ট করে এই দু’টি জায়গায় এমন বিধিনিষেধ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *